বিশেষ ঘোষণা

বিশেষ ঘোষণাঃ কারিগরি কারণ বশতঃ বেশ কিছু বইয়ের লিঙ্ক কাজ করছে না। সেগুলো ধীরে ধীরে ঠিক করে দেওয়ার কাজ চলছে। কিছু বই অপেক্ষাকৃত ভালো করতে গিয়ে একটু সময় লাগছে। ফেসবুক গ্রুপে প্রত্যেক আপডেট জানিয়ে দেওয়া হবে। মাঝে মাঝে নতুন বই দেবার ও চেষ্ট চলছে ।

কালীপ্রসন্ন সিংহ

বাংলা ভাষার সমস্ত লেখক - এক জায়গায় ক্রমানুসারে

কালীপ্রসন্ন সিংহ
জন্ম - ২৩শে ফেব্রুয়ারী, ১৮৪০                                                        মৃত্যু - ২৪শে জুলাই, ১৮৭০
 কলকাতা, ভারত                                                                                                       কলকাতা, ভারত

ছদ্মনাম ঃ হূতোম প্যাঁচা ।

বাংলা সাহিত্যে চলিত ভাষার পথপ্রদর্শক কালীপ্রসন্ন সিংহ 1870 সালের ২৪শে জুলাই বর্তমান ভারতবর্ষের পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশের অন্তর্গত কলকাতা শহরেই ইহলোকের মায়া কাটিয়ে পরলোকে গমন করেন । বাংলা সাহিত্যে কালীপ্রসন্ন সিংহ "হুতোম প্যাঁচা" ছদ্মনামে সুপরিচিত ছিলেন । কালীপ্রসন্ন সিংহ নিজের ব্যাঙ্গাত্মক রচনা "হুতোম প্যাঁচার নক্সা" নামক গ্রন্থে চলিত ভাষা ব্যবহারের অপূর্ব নিদর্শন রাখেন । এই গ্রন্থটি 1862 সালে প্রকাশিত হয় । সাহিত্যসম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এই ভাষাকে তাচ্ছিল্য করে বলেছিলেন "হুতোমি ভাষা" । কালীপ্রসন্ন সিংহ এই গ্রন্থে তৎকালীন বাবু সম্প্রদায়ের বিকৃত রুচি এবং সাধারণ সমাজব্যবস্থার ত্রুটিপূর্ণ দিকগুলির প্রতি ব্যাঙ্গাত্মক রচনার দ্বারা সমালোচনা করেছেন । বাংলা সাহিত্যে "হুতোম প্যাঁচার নক্সা" কালীপ্রসন্ন সিংহের এক অনবদ্য সৃষ্টি । 

কালীপ্রসন্ন সিংহ ছিলেন সাহিত্যিক, অনুবাদক, নাট্যকার, অভিনেতা, পত্রিকা-সম্পাদক ও সমাজসংস্কারক । এই শ্রদ্ধেয় সাহিত্যিক 1840 সালে ফেব্রুয়ারী মাসের 23 তারিখে (এই সাহিত্যিকের জন্মসাল ও জন্মতারিখ নিয়ে বিভ্রান্তি আছে । কলকাতা কুরিয়ারে প্রকাশিত সংবাদ অনুসারে এই সাহিত্যিকের জন্ম 1840 সাল এবং 23 শে ফেব্রুয়ারী । সুত্র :- উইকিপিডিয়া) কলকাতার জোড়াসাঁকো অঞ্চলের বিখ্যাত জমিদার বংশে জন্মগ্রহন করেন । এই সাহিত্যিকের পিতার নাম নন্দলাল সিংহ । বাল্যকাল থেকেই অসাধারন মেধাবী ছিলেন এই সাহিত্যিক । তিনি যা চোখে দেখতেন এবং কানে যা শুনতেন হবহু তা মনে রাখতে পারতেন এতই প্রখর ছিল তার স্মৃতিশক্তি । এই সাহিত্যিক যেমন বুদ্ধিমান তেমন সৃষ্টিশীল ছিলেন । খুব কম বয়সে একাধিক ভাষায় দক্ষতা অর্জন করেন এই সাহিত্যিক অথচ তার কোন প্রাতিষ্ঠানিক ডিগ্রী ছিল না সম্পুর্ণভাবে গৃহশিক্ষক নিযুক্ত করে তিনি বিদ্যাশিক্ষা করেছিলেন । এই মহান সাহিত্যিক মাত্র তেরো বছর বয়সে অর্থাৎ 1853 সালে বিদগ্ধ বন্ধুদের সঙ্গে মিলিত হয়ে বাঙালীর শিক্ষা ও সামাজিক জীবনের উন্নয়নের জন্য "বিদ্যোৎসাহিনী সভা" প্রতিষ্ঠা করেন । এই সভার মুখপত্র "বিদ্যোৎসাহিনী পত্রিকা" এই মহান সাহিত্যিক 1855 সালে প্রকাশিত করেন এবং পরের বছর অর্থাৎ 1856 সালে তিনি নাট্যাভিনয় ও নাট্যসাহিত্যের উন্নতির জন্য নিজের বসতবাড়ীতে বিদ্যোৎসাহিনী রঙ্গমঞ্চ গড়ে তোলেন । বাংলা সাহিত্যে অমিত্রাক্ষর ছন্দ প্রতিষ্ঠার জন্য মাইকেল মধুসুদন দত্তকে 1861 সালে ফেব্রুয়ারী মাসের 12 তারিখে এই সভার মাধ্যমে কালীপ্রসন্ন সিংহ গণসংবর্ধনা জ্ঞাপন করেন এবং নীলকর সাহেবদের অত্যাচার ও অসহায় চাষীদের দুরবস্থা অবলম্বনে রচিত দীনবন্ধু মিত্রের "নীলদর্পন" নাটকটি গ্রন্থাকারে প্রকাশ করার জন্য ফাদার রেভারেন্ড জেমস লঙকেও সংবর্ধিত করেন । নীলদর্পন নাটকটি প্রকাশ করার জন্য ব্রিটিশ সরকার ফাদার লঙকে এক হাজার টাকা জরিমানা করলে কালীপসন্ন সিংহ আদালতে ফাদারের তরফে সেই টাকা জমা দিয়ে ছিলেন । এছাড়াও এই সাহিত্যিক তৎকালীন "হিন্দু প্যাট্রিয়ট" পত্রিকার সম্পাদক হরিশ মুখোপাধ্যায়কে আর্থিক সাহায্য দিতেন । বাল্যবিবাহ ও বহুবিবাহ বন্ধ এবং বিধবা বিবাহ চালু করার জন্য ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগর যে আন্দোলন আরম্ভ করেছিলেন কালীপ্রসন্ন সিংহ সেই আন্দোলনকে পুর্ণ সমর্থন করেছিলেন । কালীপ্রসন্ন সিংহ নাটক রচনা করে সাহিত্যক্ষেত্রে প্রবেশ করেন । 1854 সালে তার "বাবু" নাটকটি প্রকাশিত হয় । "বাবু" নাটকটি ছাড়াও এই বরেণ্য সাহিত্যিক যথাক্রমে বিক্রমোর্বশী (1857), সাবিত্রী-সত্যবান (1858) এবং মালতী-মাধব (1859) নাটক রচনা করেন । মূল সংস্কৃত মহাভারতকে বাংলা ভাষায় গদ্যানুবাদ করে নিজের খরচে তা প্রকাশ করা এই বরেণ্য সাহিত্যিকের অনবদ্য কীর্তি । এই বিখ্যাত সাহিত্যিক বিদ্যোৎসাহিনী পত্রিকা ছাড়াও সারবত্ত্বা প্রকাশিকা ও বিভিদার্থ সংগ্রহ নামক পত্রিকা প্রকাশ করেন এবং পরিদর্শক নামে বাংলা পত্রিকা সম্পাদনাও করেন । 

এই মহান সাহিত্যিক বেণীসংহার, বিক্রমোর্বশী প্রভৃতি নাটকে অভিনয় করেন যা দর্শকদের দ্বারা প্রশংসিত হয় । কালীপ্রসন্ন সিংহ দাতব্য চিকিৎসালয় ও অবৈতনিক বিদ্যালয় স্থাপন করেন এবং দুঃস্থ ছাত্র ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অর্থ দান করেন । ব্রিটিশ সরকার কালীপ্রসন্ন সিংহকে তার কর্মের জন্য ম্যাজিস্ট্রেট ও জাস্টিস অফ দ্য পিস পদে অভিষিক্ত করেছিল । মাত্র তিরিশ বছরের জীবনে প্রতিভার এমন বহুমুখী বিকাশ বাংলা সাহিত্যে খুবই বিরল ।

কৃতজ্ঞতা - Shining Subir.

নীচে তার রচনার ওপর ক্লিক করলে নির্দিষ্ট বইটি পেতে পারেন।

অ - ঔ ক - ন প - ম, শ স, ষ, র, ল, য, হ, ক্ষ

















































































































একটি আবেদন - 
কেউ যদি কোনো বই/ পত্রিকা স্ক্যান করতে / দিতে চান 
বা সূচীপত্র ও.সি.আর. করতে চান - 
তাহলে নিচের ইমেলে যোগাযোগ করবেন 

babuipakhi819@gmail.com 

No comments:

Post a Comment