বিশেষ ঘোষণা

বিশেষ ঘোষণাঃ কারিগরি কারণ বশতঃ বেশ কিছু বইয়ের লিঙ্ক কাজ করছে না। সেগুলো ধীরে ধীরে ঠিক করে দেওয়ার কাজ চলছে। কিছু বই অপেক্ষাকৃত ভালো করতে গিয়ে একটু সময় লাগছে। ফেসবুক গ্রুপে প্রত্যেক আপডেট জানিয়ে দেওয়া হবে। মাঝে মাঝে নতুন বই দেবার ও চেষ্ট চলছে ।

বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়

বাংলা ভাষার সমস্ত লেখক - এক জায়গায় ক্রমানুসারে

বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়
জন্ম - ১২ই সেপ্টেম্বর, ১৮৯৪                                                                  মৃত্যু - ১লা নভেম্বর, ১৯৫০
কল্যাণী, নদীয়া, প.বঙ্গ, ভারত                                                                ঘাটশিলা, ঝাড়খন্ড, ভারত

বাংলা সাহিত্যের কিংবদন্তী কথাসাহিত্যিক তথা প্রকৃতিপ্রেমিক বিভূতিভূষন বন্দোপাধ্যায় 1894 সালে আজকের দিনে বর্তমান ভারতবর্ষের অন্তর্গত পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশে অবস্থিত উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার কল্যাণী, নদীয়ার কাছে মুরাতিপুর গ্রামে মাতুলালয়ে ভূমিষ্ঠ হন । এই কিংবদন্তী কথাসাহিত্যিকের পিতার নাম মহানন্দ বন্দোপাধ্যায়, ইনি সংস্কৃত ভাষায় সুপণ্ডিত ছিলেন বলে "শাস্ত্রী" উপাধিতে ভূষিত হন এবং পৌরহিত্য ও কথকতাকে পেশা হিসাবে গ্রহন করেন । এই কথাসাহিত্যিকের মাতার নাম মৃণালিনী দেবী এবং পৈতৃক নিবাস ছিল উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার ব্যারাকপুর বনগ্রামে । বিভূতিভূষন বন্দোপাধ্যায়ের বাল্য ও কৈশোর জীবন দারিদ্র্য, অভাব-অনটনের মধ্যে দিয়ে অতিবাহিত হয়েছিল বলে তিনি তার "পথের পাঁচালী" নামক উপন্যাসটিতে গ্রামের মানুষের দারিদ্র, অভাব-অনটনের কথা লেখনীর মাধ্যমে নিখুঁতভাবে চিত্রায়িত করে পাঠককুলকে উপহার দিয়েছেন । এই প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক ছাত্র হিসাবে খুবই মেধাবী ছিলেন । 

এই কথাসাহিত্যিকের বিদ্যাভ্যসে হাতেখড়ি তার পিতা মহানন্দ বন্দোপাধ্যায়ের কাছে হয় । এই বরণীয় কথাসাহিত্যিক বনগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয় থেকে 1914 সালে প্রথম বিভাগে প্রবেশিকা পরীক্ষায় পাশ করেন । 1916 সালে কলকাতার রিপন কলেজ (বর্তমানে সুরেন্দ্রনাথ কলেজ নামে সুপরিচিত) থেকে প্রথম বিভাগে আই. এ. এবং 1918 সালে একই কলেজ থেকে ডিস্টিংশন নিয়ে বি. এ. পাশ করেন । এই বরেণ্য কথাসাহিত্যিক উচ্চতর শিক্ষালাভের জন্য এম. এ . ও আইন বিভাগে ভর্তি হন এবং আর্থিক অসচ্ছ্বলতার জন্য পঠন-পাঠনে ইতি ঘটিয়ে চাকরি করতে বাধ্য হলেন । এই মহান কথাসাহিত্যিক 1919 সালে হুগলী জেলার জাঙ্গীপাড়া দ্বারকানাথ উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষকতার চাকরি দিয়ে কর্মজীবন আরম্ভ করেন । এক বছর পরে অর্থাৎ 1920 সাল থেকে 1922 সাল পর্যন্ত সোনারপুর হরিণাভি বিদ্যালয়ে এবং পরবর্তীকালে কলকাতার খেলাৎচন্দ্র মেমোরিয়াল বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন এই কথাসাহিত্যিক । এই শ্রদ্ধেয় কথাসাহিত্যিক হরিণাভি বিদ্যালয় থেকে কলকাতার খেলাৎচন্দ্র মেমোরিয়াল বিদ্যালয়ে চাকরি করার মধ্যবর্তী সময়ে কোশোরাম পোদ্দারের গোরক্ষিণী সভার প্রচারক ছিলেন , তারপর খেলাৎ চন্দ্র ঘোষের বাড়ীতে গৃহশিক্ষকতা করার সুত্রে তার ব্যাক্তিগত সচিব এবং ভাগলপুরের জমিদারীতে খাজনা আদায়কারীর কাজ করতেন । পরে এই শ্রদ্ধেয় কথাসাহিত্যিক শিক্ষকতার চাকরিতে ফিরে আসেন এবং জীবনের শেষকাল পর্যন্ত গোপালনগর বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন । এই মহান কথাসাহিত্যিকের গল্প রচনার মধ্য দিয়ে সাহিত্যজগতে আত্মপ্রকাশ হয় । এই বরণীয় কথাসাহিত্যিকের প্রথম গল্প "উপেক্ষিত" 1922 সালে প্রবাসী পত্রিকার মাঘ সংখ্যায় প্রকাশিত হয় । এই কথাসাহিত্যিক নিজের প্রথম উপন্যাস "থের পাচালী" ভাগলপুরে থাকাকালীন রচনা করেন । এই উপন্যাসটি 1929 সালে প্রকাশিত হয় । এই কথাসাহিত্যিক "পথের পাঁচালী" নামক উপন্যাসটি রচনা করে পাঠকসমাজে বিপুল জনপ্রিয়তা লাভ করেন এবং সাহিত্যসমাজে এক শক্তিশালী কথাসাহিত্যিক হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হন । পরবর্তীকালে সত্যজিত রায় এই "পথের পাঁচালী" নামক উপন্যাসটি চলচিত্রায়িত করে 1992 সালে "অস্কার" পুরস্কার লাভ করেন । এই শ্রদ্ধেয় কথাসাহিত্যিক গল্প, উপন্যাস, কিশোরসাহিত্য, দিনলিপি ও ভ্রমনকাহিনী মিলিয়ে অর্ধশতাধিক গ্রন্থ রচনা করেছেন ।পথের পাঁচালী ছাড়াও এই জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিকের রচিত অন্যান্য উল্লেখযোগ্য উপন্যাসগুলি হল -- অপরাজিত (1932), দৃষ্টিপ্রদীপ (1935), আরণ্যক (1939), আদর্শ হিন্দু হোটেল (1940), বিপিনের সংসার (1941), দেবযান (1944), ইচ্ছামতী (1950) প্রভৃতি এবং গল্প-সংকলনগুলির মধ্যে - মেঘমল্লার (1932), মৌরীফুল (1932), যাত্রাবদল (1934), কিন্নর দল (1938), বেণীগির ফুলবাড়ি (1941), তালনবমী (1944), বিধুমাস্টার (1945) প্রভৃতি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য । এই প্রথিতযশা কথাসাহিত্যিক কিশোরদের জন্য সাহিত্য এবং দিনলিপি ও ভ্রমনকাহিনীও রচনা করে গেছেন । কিশোরসাহিত্যগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল - চাঁদের পাহাড় (1938), মরণের ডঙ্কা বাজে (1940), হীরা মাণিক জ্বলে (1946) প্রভৃতি এবং দিনলিপি ও ভ্রমনকাহিনীর মধ্যে - অভিযাত্রিক (1940), স্মৃতির রেখা (1941), বনে পাহাড়ে (1945), উৎকর্ণ (1946), হে অরণ্য কথা কও (1948) প্রভৃতি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য । এই কথাসাহিত্যককে শৈশবকাল থেকেই বাংলার পল্লী-প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য ভীষনভাবে আকৃষ্ট করতো । সেই কারনে তার রচনার মধ্যে গ্রাম্যমানুষদের প্রেম-ভালোবাসা, স্বপ্ন-আশা, পল্লী-প্রকৃতির নৈসর্গিক রূপ, অরন্যের রহস্যময়তা, প্রাণোচ্ছ্বল সজীবতা ও বৈচিত্র সুনিপুনভাবে চিত্রিত হয়েছে । 

এই কথাসাহিত্যিক গ্রন্থগুলি সহজ, সরল ও অনাড়ম্বর ভঙ্গিতে রচনা করেছেন, তার রচনার ভাষা ছিল মধুর, স্বচ্ছন্দ ও কাব্যধর্মী । মৃত্যুর পর 1951 সালে এই প্রথিতযশা কথাসাহিত্যিককে "ইচ্ছামতী" উপন্যাস রচনার জন্য রবীন্দ্র পুরস্কারে ভূষিত করা হয় । জীবনের শেষ দিকে এই কথাসাহিত্যিক বর্তমান ভারতবর্ষের ঝাড়খন্ড প্রদেশের ঘাটশিলায় থাকতেন । সেখানেই 1950 সালে নভেম্বর মাসের ১ তারিখে এই কিংবদন্তী কথাসাহিত্যিকের তিরোধান হয় ।

কৃতজ্ঞতা - Shining Subir.

নীচে তার রচনার ওপর ক্লিক করলে নির্দিষ্ট বইটি পেতে পারেন।

অ - ঔ ক - ন প - ম, শ স, ষ, র, ল, য, হ, ক্ষ









































































































একটি আবেদন - 
কেউ যদি কোনো বই/ পত্রিকা স্ক্যান করতে / দিতে চান 
বা সূচীপত্র ও.সি.আর. করতে চান - 
তাহলে নিচের ইমেলে যোগাযোগ করবেন 

babuipakhi819@gmail.com 

No comments:

Post a Comment