বিশেষ ঘোষণা

বিশেষ ঘোষণাঃ কারিগরি কারণ বশতঃ বেশ কিছু বইয়ের লিঙ্ক কাজ করছে না। সেগুলো ধীরে ধীরে ঠিক করে দেওয়ার কাজ চলছে। কিছু বই অপেক্ষাকৃত ভালো করতে গিয়ে একটু সময় লাগছে। ফেসবুক গ্রুপে প্রত্যেক আপডেট জানিয়ে দেওয়া হবে। মাঝে মাঝে নতুন বই দেবার ও চেষ্ট চলছে ।

জসিমুদ্দিন

বাংলা ভাষার সমস্ত লেখক - এক জায়গায় ক্রমানুসারে

জসিমুদ্দিন
জন্ম - ১লা জানুয়ারী, ১৯০৪                                                                           মৃত্যু - ১৪ই মার্চ, ১৯৭৬
ফরিদপুর, বাংলাদেশ                                                                                                ঢাকা, বাংলাদেশ 

"ছিপছিপে তার পাতলা গঠন, রাঙা যে টুকটুক
সোনা রূপায় ঝলমল দেখলে তাহার মুখ ।
সেই মেয়েটি বললো মোরে দিয়ে একখান খাতা, 
'লিখো কবি ইহার মাঝে যখন খুশি যা তা ।' 
উত্তরে তায় কইনু আমি, 'এই যে রূপের তরী, 
বেয়ে তুমি চলছ পথে আহা মরি মরি ।' 
রূপের ডালি চলছ বয়ে, শাড়ির ভাঁজে ভাঁজে, 
কুসুম ফুলের মাঠখানি যে কতই রঙে রাজে ।" 

বাংলা সাহিত্যজগতে কুমুদরঞ্জন মল্লিকের পর গ্রামবাংলার অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য যার চোখে ধরা পড়েছিল, তিনি হলেন জসীমউদ্দিন । আপামর বাংলা সাহিত্যপ্রেমীদের কাছে জসীমউদ্দিন "পল্লীকবি" হিসাবে সুপরিচিত । এই পল্লীকবির পুরো নাম জসীমউদ্দিন মোল্লা । জসীমউদ্দিন ছিলেন কবি, ঔপন্যাসিক, নাট্যকার এবং গীতিকার । এই পল্লীকবি 1904 সালে জানুয়ারি মাসের 1 তারিখে অধুনা বাংলাদেশের অন্তর্গত ফরিদপুর জেলার তাম্বুলখানা গ্রামে মাতুলালয়ে ভুমিষ্ঠ হন । 

এই পল্লীকবির পিতার নাম আনসারউদ্দিন মোল্লা, ইনি পেশায় একজন স্কুলশিক্ষক এবং মাতার নাম আমিনা খাতুন । এই পল্লীকবির পৈতৃক নিবাস ছিল ফরিদপুর জেলার অম্বিকাপুর গ্রামে । উপরোক্ত লাইনগুলি এই পল্লীকবির রচিত "জলের লেখন" কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত "অনুরোধ" কবিতা থেকে উদ্ধৃত করা হয়েছে । এই পল্লীকবি বাল্যকালে ফরিদপুর ওয়েলফেয়ার স্কুলে ভর্তি হয়ে প্রাথমিক শিক্ষালাভ করেন । পরবর্তী সময়ে উচ্চশিক্ষার জন্য ফরিদপুর জেলা স্কুলে ভর্তি হন এবং 1921 সালে এই স্কুল থেকেই প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন এই বরণীয় কবি । এই বরণীয় কবি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যথাক্রমে 1929 সালে বাংলায় অনার্সসহ বি. এ. এবং 1931 সালে এম. এ. পাশ করেন । কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গভাষা ও সাহিত্যের অধ্যাপক রামতনু লাহিড়ী এবং অধ্যাপক দীনেশ চন্দ্র সেন 1933 সালে এই শ্রদ্ধেয় কবিকে বাংলা লোকগীতি ও লোকসাহিত্য সংগ্রহ ও গবেষনার কাজে নিযুক্ত করেন । পরবর্তীকালে এই শ্রদ্ধেয় কবি 1938 সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে অধ্যাপনা করেন । ফরিদপুর জেলা স্কুলে পাঠরতা থাকাকালীন এই শ্রদ্ধেয় কবির বাংলা সাহিত্যে হাতেখড়ি হয় । দশম শ্রেণির ছাত্র থাকাকালীন এই শ্রদ্ধেয় কবির রচিত "কবর" কবিতাটি তার জীবনের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবিতা হিসাবে পরিগনিত হয় । "কবর" কবিতাটি সর্বপ্রথম 1926 সালে কল্লোল পত্রিকার তৃতীয় বর্ষের তৃতীয় সংখ্যায় প্রকাশিত হয়, পরবর্তীকালে এই কবিতাটি "রাখালী" নামক কাব্যগ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত হয় । কল্লোল পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ার পর বাংলার পাঠককুলের কাছে এই কবিতাটি খুবই প্রশংসিত হয় বলে পরবর্তী সময়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশিকা পরীক্ষার পাঠক্রমে এই কবিতাটিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয় । 1929 সালে এই শ্রদ্ধেয় কবির রচিত নক্সীকাঁথার মাঠ কবিতাটি প্রকাশিত হলে বাংলার পাঠককুল এই শ্রদ্ধেয় কবিকে বিপুল জনপ্রিয়তা দান করে । পরবর্তীকালে "নক্সীকাঁথার মাঠ" কবিতাটি ইংরেজি ভাষায় অনুদিত হলে বিদেশেও এই শ্রদ্ধেয় কবির খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে । এই জনপ্রিয় কবি কাব্যগ্রন্থ, নাটক, উপন্যাস, সঙ্গীত, ভ্রমণকাহিনী এবং আত্মকথামূলক প্রবন্ধ রচনা করেছেন । এই জনপ্রিয় কবির রচিত কাব্যগ্রন্থগুলির মধ্যে - রাখালী (1927), নক্সীকাঁথার মাঠ (1929), বালুচর (1930), ধান ও ক্ষেত (1933), রঙ্গিলা নায়ের মাঝি (1935), হাসু (1938), রূপবতী (1946), মাটির কান্না (1951), এক পয়সার বাঁশী (1956), সকিনা (1959), জলের লেখন (1969) প্রভৃতি এবং নাটকগুলির মধ্যে - পদ্মাপার (1950), বেদের মেয়ে (1951), মধুমালা (1951), পল্লীবধূ (1956), গ্রামের মেয়ে (1959), ওগো পুস্পধনু (1968) প্রভৃতি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য । এই জনপ্রিয় কবির রচিত ভ্রমনকাহিনীগুলির মধ্যে - চলে মুসাফির (1952), হলদে পরীর দেশে (1967), যে দেশে মানুষ বড় (1968), জার্মানীর শহরে বন্দরে (1975) এবং আত্মকথামূলক প্রবন্ধগুলির মধ্যে - যাদের দেখেছি (1951), ঠাকুরবাড়ির আঙ্গিনায় (1961), জীবন কথা (1964), স্মৃতিপট (1964) বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য । এই জনপ্রিয় কবি দুইটি সঙ্গীত যথাক্রমে - জারি গান (1968), মুর্শিদী গান (1977) এবং বোবা কাহিনী (1964) নামে একটি উপন্যাস রচনা করেছেন । এছাড়াও গ্রাম বাংলার প্রচলিত গল্প ও কাহিনী সংগ্রহ করে "বাঙালীর হাসির গল্প" নামে কয়েক খন্ডে প্রকাশ করেন এই জনপ্রিয় কবি । গ্রামবাংলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং গ্রাম্যমানুষের জীবনযাত্রা সহজভাবে সরল ভাষায় নিজের রচনাগুলিতে পাঠকগনের নিকট তুলে ধরেছেন এই খ্যাতনামা কবি । 

এই খ্যাতনামা কবি নিজের সাহিত্যকর্মের জন্য রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে "ডি. লিট" ডিগ্রী এবং বাংলাদেশ-প্রেসিডেন্টের "একুশে পদক" লাভ করেন । 1978 সালে এই খ্যাতনামা কবি মরণোত্তর স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার লাভ করেন । 1976 সালের মার্চ মাসের 14 তারিখে ঢাকা শহরে এই খ্যাতনামা কবির তিরোধান হয় ।

কৃতজ্ঞতা - Shining Subir.

নীচে তার রচনার ওপর ক্লিক করলে নির্দিষ্ট বইটি পেতে পারেন।

অ - ঔ ক - ন প - ম, শ স, ষ, র, ল, য, হ, ক্ষ

















































































































একটি আবেদন - 
কেউ যদি কোনো বই/ পত্রিকা স্ক্যান করতে / দিতে চান 
বা সূচীপত্র ও.সি.আর. করতে চান - 
তাহলে নিচের ইমেলে যোগাযোগ করবেন 

babuipakhi819@gmail.com 

No comments:

Post a Comment