বাংলা ভাষার সমস্ত লেখক - এক জায়গায় ক্রমানুসারে
নীরোদ চন্দ্র চৌধুরী
জন্ম - ২৩শে নভেম্বর, ১৮৯৭ মৃত্যু - ১লা আগস্ট, ১৯৯৯
ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ লন্ডন, ইংল্যান্ড
নীরোদ চন্দ্র চৌধুরী
জন্ম - ২৩শে নভেম্বর, ১৮৯৭ মৃত্যু - ১লা আগস্ট, ১৯৯৯
ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ লন্ডন, ইংল্যান্ড
বিংশ শতকের সবচাইতে বিতর্কিত, কালজয়ী ও চিন্তাশীল বাঙালী লেখক নীরদচন্দ্র চৌধুরী 1897 সালে নভেম্বর মাসের 23 তারিখে অধুনা বাংলাদেশের ময়মনসিংহ জেলার অন্তর্গত কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে ভুমিষ্ঠ হন । এই কালজয়ী লেখকের পিতার নাম উপেন্দ্র নারায়ন চৌধুরী, পেশায় ইনি ছিলেন আইনজীবী এবং মাতার নাম সুশীলাসুন্দরী দেবী ।
নীরদচন্দ্র চৌধুরী ছিলেন প্রবন্ধকার, সাংবাদিক ও সম্পাদক । এই চিন্তাশীল লেখক জীরনের প্রথম বারো বছর কিশোরগঞ্জে এবং তারপরে ত্রিশ বছর কলকাতায় অতিবাহিত করেছিলেন বলে তিনি নিজের বিদ্যাশিক্ষা কিশোরগঞ্জে আরম্ভ করে কলকাতাতে শেষ করেন । 1918 সালে এই কালজয়ী লেখক কলকাতার স্কটিশ চার্চ কলেজ থেকে ইতিহাসে অনার্স নিয়ে প্রথম শ্রেনীতে বি. এ. পাশ করেন এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে এম. এ. শ্রেনীতে ভর্তি হন । 1920 সালে অনুষ্ঠিত এম. এ. পরীক্ষায় অংশ না নেওয়ার জন্য এই কালজয়ী লেখক এম. এ. ডিগ্রী অর্জন করতে পারেন নি । এখানেই শেষ হয়ে যায় এই কালজয়ী লেখকের প্রাতিষ্ঠানিক বিদ্যাশিক্ষা । পরে নিজের চেষ্টায় ফরাসি, ইংরেজি, জার্মান, গ্রীক ও ল্যাটিন ভাষায় শিক্ষিত হন এই বর্ণময় বাঙালী লেখক । এই শ্রদ্ধেয় লেখক ব্রিটিশ-ভারতীয় সেনাবাহিনীর হিসাবরক্ষণ দপ্তরে কেরাণী হিসাবে নিজের কর্মজীবন আরম্ভ করেন । চাকরি করার সাথে সাথে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রবন্ধ রচনা করে জনপ্রিয় পত্রিকাগুলিতে প্রেরণ করতে থাকেন । এই শ্রদ্ধেয় লেখক স্কটিশ চার্চ কলেজে পাঠরতা থাকাকালীন ইংরেজি ভাষায় প্রথম প্রবন্ধ রচনা করেন যার নাম "অবজেকটিভ মেথড ইন হিস্টরি" । এই শ্রদ্ধেয় লেখক বাংলা ভাষায় প্রথম প্রবন্ধটি অষ্টাদশ শতকের বিখ্যাত বাঙালী লেখক ভারতচন্দ্রের উপর রচনা করেন । এই প্রবন্ধটি 1925 সালে কলকাতা থেকে প্রকাশিত "মডার্ন রিভিউ" নামক জনপ্রিয় ইংরেজি দৈনিক পত্রিকায় স্থান লাভ করে । কিছুদিন পরে এই বরেণ্য লেখক সেনাবাহিনীর হিসাবরক্ষণ দপ্তরের চাকরি ত্যাগ করে সাংবাদিক ও সম্পাদক হিসাবে নতুন কর্মজীবন আরম্ভ করেন । 1926 সালে "মডার্ন রিভিউ" পত্রিকায় রমানন্দ চট্টোপাধ্যায়ের অধীনে সহ-সম্পাদকের চাকরি এবং 1927 সালে "শনিবারের চিঠি" নামক বাংলা সাময়িকীর সম্পাদকের চাকরি গ্রহন করেন । এছাড়াও "নতুন পত্রিকা" ও "সমসাময়িক" নামক দুইটি ক্ষনস্থায়ী উচ্চস্তরের সাময়িকীতে সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন এই বরেণ্য লেখক । 1937 সালে এই বরেণ্য লেখক রাজনীতিবিদ শরৎচন্দ্র বসুর ব্যক্তিগত সচিব নিযুক্ত হন এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় কলকাতা বেতার কেন্দ্র থেকে যুদ্ধের ঘটনাবলী সমন্ধে মন্তব্য করার চাকরি পেয়েছিলেন । এই বরেণ্য লেখক 1941 সালে অল ইন্ডিয়া রেডিয়োতে চাকরি গ্রহন করে কলকাতা ছেড়ে দিল্লী চলে যান । 1951 সালে এই বরেণ্য লেখকের রচিত প্রথম গ্রন্থ "দি অটোবায়োগ্রাফি অফ অ্যান আননোন ইন্ডিয়ান" প্রকাশিত হলে সমগ্র দেশব্যাপী এক বিরাট বিতর্কের সৃষ্টি হয় এবং ভারতীয় সাহিত্য মহলে লেখককে কটু মন্তব্য শুনতে হয় । 1953 সালে এই বিতর্কিত লেখক প্রথমবার বিদেশভ্রমন করেন । সেই বিদেশ ভ্রমনের অভিজ্ঞতা থেকে এই স্বনামধন্য লেখক "এ প্যাসেজ টু ইল্যান্ড" এবং "দি কনটিনেন্ট অফ সার্সি" নামক দুইটি গ্রন্থ রচনা করেন, যেগুলি 1959 সাল এবং 1965 সালে প্রকাশিত হয় । এই খ্যাতনামা লেখকের প্রথম বাংলা গ্রন্থ "বাঙালী জীবনে রমনী" 1968 সালে প্রকাশিত হয় । 1970 সালে এই খ্যাতনামা লেখক জার্মান ভাষাতত্ত্ববিদ ম্যাক্সমূলারের (পুরো নাম ফ্রেডরিক ম্যাক্সিমিলান মূলার, ইনি ছিলেন অক্সফোর্ডের আধুনিক ভাষার অধ্যাপক এবং সংস্কৃত ভাষা সমন্ধে এনার অগাধ পান্ডিত্য ছিল । ইনি সায়নাচার্যের ভাষাসহ ঋগ্বেদের একখানি সংস্করণ প্রকাশ করেন ।) জীবনী রচনা করার জন্য ইল্যান্ডের অক্সফোর্ড শহরে গমন করেন এবং সেখানেই বসবাস করতে আরম্ভ করেন । সুদুর অক্সফোর্ড শহর থেকে বাংলা ও ইংরেজী ভাষায় গ্রন্থ রচনা করতে থাকেন । এই খ্যাতনামা লেখকের রচিত অন্যান্য গ্রন্থগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল - দি স্কলার এক্সট্রাঅর্ডিনারি (1974), হিন্দুইজম (1976), দাই হ্যান্ড গ্রেট অ্যানার্ক (1987), আত্মঘাতী বাঙালী, আত্মঘাতী রবীন্দ্রনাথ, আমার দেশ আমার শতক, আজি হতে শতবর্ষ আগে (বাংলা আত্মজীবনী), থ্রি হর্সমেন অফ দি নিউ অ্যাপোক্যালিন্স (1997) প্রভৃতি । বাংলা ভাষায় গ্রন্থগুলি মূলত সাধুভাষায় রচনা করেছেন এই প্রথিতযশা লেখক । এই প্রথিতযশা লেখক তার সাহিত্যকীর্তির জন্য 1966 সালে ডাফ কুপার মেমোরিয়াল পুরস্কার, 1975 সালে ভারত সরকারের কাছ থেকে সাহিত্য অকাডেমী পুরস্কার, 1989 সালে আনন্দ পুরস্কার লাভ করেন এবং 1990 সালে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছ থেকে ডি. লিট উপাধিতে ভূষিত হন। 1992 সালে ইংল্যান্ডের রাণী এই প্রথিতযশা লেখককে "কমান্ডার অফ অর্ডার অফ দ্য ব্রিটিশ এম্পায়ার" উপাধি অর্পণ করেন । 1996 সালে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় এই প্রথিতযশা লেখককে তাদের সর্বোচ্চ সম্মান "দেশিকোত্তম" উপাধি প্রদান করে ।
1999 সালের আগস্ট মাসের ১ তারিখে অক্সফোর্ড শহরে মধ্যস্থিত নিজ বাসভবনে এই প্রথিতযশা লেখকের তিরোধান হয় । নীরদচন্দ্র চৌধুরীর মতো এমন দীর্ঘজীবি লেখক বাংলা সাহিত্যজগতে খুব একটা চোখে পড়ে না ।
নীরদচন্দ্র চৌধুরী ছিলেন প্রবন্ধকার, সাংবাদিক ও সম্পাদক । এই চিন্তাশীল লেখক জীরনের প্রথম বারো বছর কিশোরগঞ্জে এবং তারপরে ত্রিশ বছর কলকাতায় অতিবাহিত করেছিলেন বলে তিনি নিজের বিদ্যাশিক্ষা কিশোরগঞ্জে আরম্ভ করে কলকাতাতে শেষ করেন । 1918 সালে এই কালজয়ী লেখক কলকাতার স্কটিশ চার্চ কলেজ থেকে ইতিহাসে অনার্স নিয়ে প্রথম শ্রেনীতে বি. এ. পাশ করেন এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে এম. এ. শ্রেনীতে ভর্তি হন । 1920 সালে অনুষ্ঠিত এম. এ. পরীক্ষায় অংশ না নেওয়ার জন্য এই কালজয়ী লেখক এম. এ. ডিগ্রী অর্জন করতে পারেন নি । এখানেই শেষ হয়ে যায় এই কালজয়ী লেখকের প্রাতিষ্ঠানিক বিদ্যাশিক্ষা । পরে নিজের চেষ্টায় ফরাসি, ইংরেজি, জার্মান, গ্রীক ও ল্যাটিন ভাষায় শিক্ষিত হন এই বর্ণময় বাঙালী লেখক । এই শ্রদ্ধেয় লেখক ব্রিটিশ-ভারতীয় সেনাবাহিনীর হিসাবরক্ষণ দপ্তরে কেরাণী হিসাবে নিজের কর্মজীবন আরম্ভ করেন । চাকরি করার সাথে সাথে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রবন্ধ রচনা করে জনপ্রিয় পত্রিকাগুলিতে প্রেরণ করতে থাকেন । এই শ্রদ্ধেয় লেখক স্কটিশ চার্চ কলেজে পাঠরতা থাকাকালীন ইংরেজি ভাষায় প্রথম প্রবন্ধ রচনা করেন যার নাম "অবজেকটিভ মেথড ইন হিস্টরি" । এই শ্রদ্ধেয় লেখক বাংলা ভাষায় প্রথম প্রবন্ধটি অষ্টাদশ শতকের বিখ্যাত বাঙালী লেখক ভারতচন্দ্রের উপর রচনা করেন । এই প্রবন্ধটি 1925 সালে কলকাতা থেকে প্রকাশিত "মডার্ন রিভিউ" নামক জনপ্রিয় ইংরেজি দৈনিক পত্রিকায় স্থান লাভ করে । কিছুদিন পরে এই বরেণ্য লেখক সেনাবাহিনীর হিসাবরক্ষণ দপ্তরের চাকরি ত্যাগ করে সাংবাদিক ও সম্পাদক হিসাবে নতুন কর্মজীবন আরম্ভ করেন । 1926 সালে "মডার্ন রিভিউ" পত্রিকায় রমানন্দ চট্টোপাধ্যায়ের অধীনে সহ-সম্পাদকের চাকরি এবং 1927 সালে "শনিবারের চিঠি" নামক বাংলা সাময়িকীর সম্পাদকের চাকরি গ্রহন করেন । এছাড়াও "নতুন পত্রিকা" ও "সমসাময়িক" নামক দুইটি ক্ষনস্থায়ী উচ্চস্তরের সাময়িকীতে সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন এই বরেণ্য লেখক । 1937 সালে এই বরেণ্য লেখক রাজনীতিবিদ শরৎচন্দ্র বসুর ব্যক্তিগত সচিব নিযুক্ত হন এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় কলকাতা বেতার কেন্দ্র থেকে যুদ্ধের ঘটনাবলী সমন্ধে মন্তব্য করার চাকরি পেয়েছিলেন । এই বরেণ্য লেখক 1941 সালে অল ইন্ডিয়া রেডিয়োতে চাকরি গ্রহন করে কলকাতা ছেড়ে দিল্লী চলে যান । 1951 সালে এই বরেণ্য লেখকের রচিত প্রথম গ্রন্থ "দি অটোবায়োগ্রাফি অফ অ্যান আননোন ইন্ডিয়ান" প্রকাশিত হলে সমগ্র দেশব্যাপী এক বিরাট বিতর্কের সৃষ্টি হয় এবং ভারতীয় সাহিত্য মহলে লেখককে কটু মন্তব্য শুনতে হয় । 1953 সালে এই বিতর্কিত লেখক প্রথমবার বিদেশভ্রমন করেন । সেই বিদেশ ভ্রমনের অভিজ্ঞতা থেকে এই স্বনামধন্য লেখক "এ প্যাসেজ টু ইল্যান্ড" এবং "দি কনটিনেন্ট অফ সার্সি" নামক দুইটি গ্রন্থ রচনা করেন, যেগুলি 1959 সাল এবং 1965 সালে প্রকাশিত হয় । এই খ্যাতনামা লেখকের প্রথম বাংলা গ্রন্থ "বাঙালী জীবনে রমনী" 1968 সালে প্রকাশিত হয় । 1970 সালে এই খ্যাতনামা লেখক জার্মান ভাষাতত্ত্ববিদ ম্যাক্সমূলারের (পুরো নাম ফ্রেডরিক ম্যাক্সিমিলান মূলার, ইনি ছিলেন অক্সফোর্ডের আধুনিক ভাষার অধ্যাপক এবং সংস্কৃত ভাষা সমন্ধে এনার অগাধ পান্ডিত্য ছিল । ইনি সায়নাচার্যের ভাষাসহ ঋগ্বেদের একখানি সংস্করণ প্রকাশ করেন ।) জীবনী রচনা করার জন্য ইল্যান্ডের অক্সফোর্ড শহরে গমন করেন এবং সেখানেই বসবাস করতে আরম্ভ করেন । সুদুর অক্সফোর্ড শহর থেকে বাংলা ও ইংরেজী ভাষায় গ্রন্থ রচনা করতে থাকেন । এই খ্যাতনামা লেখকের রচিত অন্যান্য গ্রন্থগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল - দি স্কলার এক্সট্রাঅর্ডিনারি (1974), হিন্দুইজম (1976), দাই হ্যান্ড গ্রেট অ্যানার্ক (1987), আত্মঘাতী বাঙালী, আত্মঘাতী রবীন্দ্রনাথ, আমার দেশ আমার শতক, আজি হতে শতবর্ষ আগে (বাংলা আত্মজীবনী), থ্রি হর্সমেন অফ দি নিউ অ্যাপোক্যালিন্স (1997) প্রভৃতি । বাংলা ভাষায় গ্রন্থগুলি মূলত সাধুভাষায় রচনা করেছেন এই প্রথিতযশা লেখক । এই প্রথিতযশা লেখক তার সাহিত্যকীর্তির জন্য 1966 সালে ডাফ কুপার মেমোরিয়াল পুরস্কার, 1975 সালে ভারত সরকারের কাছ থেকে সাহিত্য অকাডেমী পুরস্কার, 1989 সালে আনন্দ পুরস্কার লাভ করেন এবং 1990 সালে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছ থেকে ডি. লিট উপাধিতে ভূষিত হন। 1992 সালে ইংল্যান্ডের রাণী এই প্রথিতযশা লেখককে "কমান্ডার অফ অর্ডার অফ দ্য ব্রিটিশ এম্পায়ার" উপাধি অর্পণ করেন । 1996 সালে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় এই প্রথিতযশা লেখককে তাদের সর্বোচ্চ সম্মান "দেশিকোত্তম" উপাধি প্রদান করে ।
1999 সালের আগস্ট মাসের ১ তারিখে অক্সফোর্ড শহরে মধ্যস্থিত নিজ বাসভবনে এই প্রথিতযশা লেখকের তিরোধান হয় । নীরদচন্দ্র চৌধুরীর মতো এমন দীর্ঘজীবি লেখক বাংলা সাহিত্যজগতে খুব একটা চোখে পড়ে না ।
কৃতজ্ঞতা - Shining Subir.
নীচে তার রচনার ওপর ক্লিক করলে নির্দিষ্ট বইটি পেতে পারেন।
অ - ঔ | ক - ন | প - ম, শ | স, ষ, র, ল, য, হ, ক্ষ |
---|---|---|---|
একটি আবেদন -
কেউ যদি কোনো বই/ পত্রিকা স্ক্যান করতে / দিতে চান
বা সূচীপত্র ও.সি.আর. করতে চান -
তাহলে নিচের ইমেলে যোগাযোগ করবেন
কেউ যদি কোনো বই/ পত্রিকা স্ক্যান করতে / দিতে চান
বা সূচীপত্র ও.সি.আর. করতে চান -
তাহলে নিচের ইমেলে যোগাযোগ করবেন
babuipakhi819@gmail.com
No comments:
Post a Comment