বাংলা ভাষার সমস্ত লেখক - এক জায়গায় ক্রমানুসারে
শশধর দত্ত
জন্ম - ১৯০১ মৃত্যু - ১৯৬২
আরামবাগ, হুগলী, পশ্চিমবঙ্গ কলকাতা, ভারত
শশধর দত্ত
জন্ম - ১৯০১ মৃত্যু - ১৯৬২
আরামবাগ, হুগলী, পশ্চিমবঙ্গ কলকাতা, ভারত
শশধর দত্ত হুগলী জেলার আরামবাগ থানার অন্তর্গত হরাদিত্য (সমিতি) গ্রামে ১৯০১ সালে জন্ম গ্রহণ করেন। তার পিতার নাম উপেন্দ্রনাথ দত্ত এবং মাতার নাম সেখর বালা দেবী। তিনি সংবাদ পত্রের চাকরি দিয়ে জীবন শুরু করেন। আর তার সুবাদে ভারতের বিভিন্ন স্থানে ভ্রমণ করেন তিনি । আর তার লিখায় সেই সব স্থানের নিখুঁত বর্ণনা ফুটিয়ে তুলেছেন।
এক সময় শশধর দত্ত রচিত 'দস্যু মোহন' সিরিজের রহস্য গ্রন্থগুলো বাংলা সাহিত্যের আসর জাঁকিয়ে বসে। দস্যু মোহন জননন্দিত একজন সুপারম্যান। নানা উপায়ে বদমাশ বিত্তশালীদের অর্থ লুন্ঠন করে গরিব মানুষের কাছে বিলানো ও সমাজহিতৈষী কাজকর্মে দস্যু মোহনের সংযোগ ছিল। তাঁর তথাকথিত কাজের ধরন ছিল বুদ্ধিদীপ্ত ও কৌশলী। এ সিরিজের বই প্রায় অর্ধশতকের ওপর প্রকাশিত হয়। এ থেকে এই সিরিজের জনপ্রিয়তা আঁচ করা যায়। এই কাহিনী চলচ্চিত্রে রুপায়িত হয়। এই চরিত্রটি দস্যু রবিনহুডের আদল সৃষ্ট। দস্যু মোহনকে বন্দি করার জন্য কলকাতার পুলিশ সদর দফতর লালবাজারের গোয়েদা অফিসার মি. বেকারের সাথে লড়াই ও স্বদেশী মোহন পরাজিত করতেন ইংরেজ মি. বেকারকে। তবে মোহনের চিরশত্রু গোরাসাহেব মিঃ বেকার নন, এক সাহেবি বাঙালি। ডিটেকটিভ মিঃ স্যানিয়েল। কিন্তু তাঁকেও যৎপরনাস্তি নাস্তানাবুদ করে মোহন, বারবার নাগালে এসেও পিছলে বেরিয়ে যায়। দস্যু মোহনের প্রেমিকা রমার স্নঙ্গে প্রেম পরিণয় ও পুত্র স্বপনকে নিয়ে বহু কাহিনী তিনি সৃষ্টি করেছেন।
১৯৮০ থেকে ২৬ খন্ডে মোট ১৬২টি কাহিনী স্থান পেয়েছে। অথচ জানা যায় প্রায় ২০০টি দস্যু মোহন-স্বপন কাহিনী তিনি রচনা করেছিলেন এবং এই বই লেখার টাকায় নিজের পাঁচ মেয়ের বিয়ে দেন। দু'শতাধিক (২০৬টি) রহস্য রোমাঞ্চ সিরিজের মধ্যে প্রায় ৩০টি উপন্যাস মোহনের ছেলে স্বপনকে নিয়ে লেখা, যা আজ প্রায় দুষ্প্রাপ্য।
মোহন-স্বপনের মতো শশধর বাবু 'কুমার' নামে একটি চরিত্র সৃষ্টি করে বেশ কয়েকটি কাহিনী রচনা করেছিলেন। যেমন - 'কুমার', 'কুমারের আবির্ভাব' প্রভৃতি। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় যে, আজ তাঁর এই সব মূল্যবান রচনা পাঠক ও সমালোচক মহলে বিস্মৃতপ্রায়।
এই দুটি সিরিজ ছাড়াও তাঁর রচিত অন্যান্য গ্রন্থ: ‘ঘি ও আগুন’, ‘স্বর্গাদপী গরীয়সী’, ‘আগুন ও মেয়ে’, ‘শ্রীকান্তের শেষপর্ব’, ‘শেষ উত্তর’ ইত্যাদি।
No comments:
Post a Comment