বিশেষ ঘোষণা

বিশেষ ঘোষণাঃ কারিগরি কারণ বশতঃ বেশ কিছু বইয়ের লিঙ্ক কাজ করছে না। সেগুলো ধীরে ধীরে ঠিক করে দেওয়ার কাজ চলছে। কিছু বই অপেক্ষাকৃত ভালো করতে গিয়ে একটু সময় লাগছে। ফেসবুক গ্রুপে প্রত্যেক আপডেট জানিয়ে দেওয়া হবে। মাঝে মাঝে নতুন বই দেবার ও চেষ্ট চলছে ।

গৌর কিশোর ঘোষ

বাংলা ভাষার সমস্ত লেখক - এক জায়গায় ক্রমানুসারে

গৌর কিশোর ঘোষ
জন্ম - ২২শে জুন, ১৯২৩                                                                       মৃত্যু - ১৫ই ডিসেম্বর, ২০০০
যশোহর, বাংলাদেশ                                                                                                  কলকাতা, ভারত

ছদ্মনাম ঃ রূপদর্শী।

গৌরকিশোর ঘোষের জন্ম বর্তমান বাংলাদেশের যশোহর জেলায়, ৫ আষাঢ়, ১৩৩০, ২২জুন ১৯২৩। হাতেখড়ি শ্রীহট্ট জেলার এক চা বাগানে। স্কুলের দরজা পার হন নবদ্বীপে। ১৯৪৫ সালে আই.এস.সি. পাস করেন।

১৯৪১ থেকে ১৯৫৩ সাল পর্যন্ত তিনি ক্রমাগত পেশা বদলেছেন। প্রাইভেট টিউটর, ইলেকট্রিক মিস্ত্রি, খালাসি, রেস্তোরাঁয় বয়, ট্রেড ইউনিয়ন অর্গানাইজার, ইস্কুল মাস্টার থেকে ভ্রাম্যমাণ নৃত্য-সম্প্রদায়ের ম্যানেজার, ল্যান্ডকাস্টমস ক্লিয়ারিং কেরানি, প্রুফ রিডার। 

১৯৭৫ সালের ২৫শে জুন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতী ইন্দিরা গাঁধী ভারতবর্ষের অভ্যন্তরীন শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষার নামে ‘জরুরী অবস্থা’ জারি করলেন। ফলে, দেশবাসীর মৌলিক অধিকার নানাভাবে খর্ব করা হ’ল। সরকারী অনুমোদন ছাড়া কোন খবর বা রচনা ছাপা নিষিদ্ধ হ’ল, কারারুদ্ধ করা হ’ল বিরোধী দলের অনেক রাজনীতিক ও বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবীদের। স্বভাবতই, নাগরিক অধিকারে হস্তক্ষেপ ও ‘প্রেস সেন্সরশিপ’-এর কারণে সারা দেশে জনগণের মধ্যে – বিশেষত বুদ্ধিজীবী মহলে - জমতে শুরু করে অসন্তোষ। ‘কলমের স্বাধীনতা হরণ’ যে সাংবাদিক-লেখকের কাছে মাতৃবিয়োগ তুল্য সেই গৌরকিশোর ঘোষ প্রথমে মাথা মুড়িয়ে সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলেন। সরকারী নীতির কড়া সমালোচনা করে লেখা তাঁর দু’টি রচনা সেন্সরশিপ-এর কোপে পড়লে তিনি সেই সেন্সরশিপকে অগ্রাহ্য করে শ্রী জ্যোতির্ময় দত্ত-সম্পাদিত ‘কলকাতা’ পত্রিকায় তা ছাপেন। ঐ পত্রিকায় একই ভাবে প্রকাশিত হয় লেখকের তেরো বছরের পুত্রকে লেখা ‘পিতার পত্র’ খানাও। সম্ভবত এই সমস্ত আইন-না-মানা কাজের ফলে ৬ই অক্টোবর, ১৯৭৫ পুলিশ তাঁকে ‘বিনা গ্রেপ্তারী পরোয়ানায়’ MISA (Maintenance of Internal Security Act)-য় অর্থাৎ আভ্যন্তরীণ জন-নিরাপত্তা আইনে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। ‘মিসা’-বন্দী হিসেবে কারাবাস-কালে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হন ও তাঁকে বেশ কিছুদিন হাসপাতালেও কাটাতে হয়। ‘মিসা’-য় বন্দী থাকাকালীন গৌরকিশোর ঘোষ প্রচুর লিখেছেন – গদ্য, কবিতা ও ছড়া, আত্মীয় বন্ধুকে চিঠি, দিনলিপি - নানা কিছু। সাংবাদিকের অধিকার ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষার জন্য বহু নির্যাতন সহ্য করেও নিরন্তর সংগ্রামে ব্রতী ছিলেন।

রূপদর্শী ছদ্মনামে তিনি নিয়মিত তীর্যক রচনা সৃষ্টি করে গিয়েছেন যা সমসাময়িক সময়কালের এক অসাধারন দলিল।

এই মানবতাবাদী লেখক ও সাংবাদিক সম্মানিত হয়েছেন বহু পুরস্কারে। তাঁর মধ্যে উল্লেখযোগ্য আনন্দ পুরস্কার (১৯৭০), কো জয় উক স্মৃতি-পুরস্কার (১৯৭৬), কো জাই স্মৃতি পুরস্কার (১৯৭৮), ম্যাগসেসে পুরস্কার (১৯৮১) এবং বঙ্কিম পুরস্কার (১৯৮২)।

তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থ গুলির মধ্যে আছে প্রতিবেশী, সাগিনা মাহাতো, প্রেম নেই, জল পড়ে পাতা নড়ে, ব্রজদার গুল্প, নন্দাকান্তা নন্দাঘুটি প্রভৃতি।

এই মহান সাহিত্যিক ২০০০ সালের ১৫ই .ডিসেম্বর ইহলোক ত্যাগ করেন।


কৃতজ্ঞতা - আনন্দ পাবলিশার্স.

নীচে তার রচনার ওপর ক্লিক করলে নির্দিষ্ট বইটি পেতে পারেন।

অ - ঔ ক - ন প - ম, শ স, ষ, র, ল, য, হ, ক্ষ











































































































একটি আবেদন - 
কেউ যদি কোনো বই/ পত্রিকা স্ক্যান করতে / দিতে চান 
বা সূচীপত্র ও.সি.আর. করতে চান - 
তাহলে নিচের ইমেলে যোগাযোগ করবেন 

babuipakhi819@gmail.com 

No comments:

Post a Comment