বিশেষ ঘোষণা

বিশেষ ঘোষণাঃ কারিগরি কারণ বশতঃ বেশ কিছু বইয়ের লিঙ্ক কাজ করছে না। সেগুলো ধীরে ধীরে ঠিক করে দেওয়ার কাজ চলছে। কিছু বই অপেক্ষাকৃত ভালো করতে গিয়ে একটু সময় লাগছে। ফেসবুক গ্রুপে প্রত্যেক আপডেট জানিয়ে দেওয়া হবে। মাঝে মাঝে নতুন বই দেবার ও চেষ্ট চলছে ।

মনোজ বসু

বাংলা ভাষার সমস্ত লেখক - এক জায়গায় ক্রমানুসারে

মনোজ বসু
জন্ম - ২৫শে জুলাই, ১৯০১                                                                মৃত্যু - ২৬শে ডিসেম্বর, ১৯৮৭
যশোর বাংলাদেশ                                                                                                      কলকাতা, ভারত


সই কিবা কর, কারোও কবি না-কহিব তব সে কথা।
বিল কিনারায় উড়ে চলেছিল সাদা সাদা বকগুলি 
মেঘের গলায় সাতনরী - হায় যায় যেন দুলি দুলি। 
তুলসীতলায় সন্ধ্যার দীপ বাতাসে কাঁপিয়ে মরে। 
এত বড় বাড়ি - কেউ কোথা নাই, দু’জনে একেলা ঘরে। 
দূরে বিয়াবাড়ি কত কোলাহল, বাজিতেছে ঢোল কাঁশি। 
ও কহে তখন সেই পুরাতন, ভালবাসি, ভালবাসি। 

বাংলার মাটি, মানুষ, আকাশ, গাছ গাছালি, গঙ্গা পদ্মার শব্দ নৈশব্দের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িয়ে আছে তাঁর সাহিত্যকর্ম। স্কুলে পড়াকালীন কয়েকজন উৎসাহী বন্ধু মিলে একটি হস্ত মুদ্রিত পত্রিকা প্রকাশ করেন। এর পর তিনি ‘বিকাশ’ পত্রিকার সাথে যুক্ত হন। পত্রিকার প্রথম সংখ্যা থেকেই মনোজ বসু লিখতে শুরু করেন। পত্রিকার দ্বিতীয় বর্ষ, তৃতীয় সংখ্যায় লেখকের একটি গল্প প্রকাশিত হয়। গল্পটির নাম ‘গৃহহারা’, লেখক মনোজ মোহন বসু। ‘বাঁশরী’র পৃষ্ঠাতেও ঐ নামে তাঁর প্রথম আত্নপ্রকাশ। পিতৃ প্রদত্ত নামের মধ্যপদ লোপ করে পরে তিনি মনোজ বসু হলেন। ‘নতুন মানুষ’ (বিচিত্রা কার্ত্তিক, ১৩৩৭) প্রথম পদক্ষেপ হলেও প্রকৃতপক্ষে ‘বাঘ’-ই মনোজ বসুর কৃতিত্বের পরিচায়ক-এতেই তাঁর সাহিত্যিক হিসেবে প্রতিষ্ঠা। ‘বাঘ’ গল্পটি সম্পর্কে বিভূতি ভূষণ বন্দোপাধ্যায় তাঁর উচ্ছাসিত প্রশংসা করেছেন। বিভূতি ভূষণ কবি জসীম উদ্দীনের সঙ্গে তাঁর ছিল আনত্মরিক সম্পর্ক। গল্পের পাশাপশি প্রকাশিত হচ্ছিল মনোজ বসুর সৃষ্টিধর্মী কবিতা। তাঁর প্রথম মুদ্রিত কবিতা ‘গেপন কথা’ হেমলতা দেবী সম্পাদিত মেয়েদের কাগজ ‘বঙ্গলক্ষী’ তে ১৯৩০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে প্রকাশিত হয়।

গুরু সদয় দত্ত প্রতিষ্ঠিত ‘বাংলার শক্তি’ পত্রিকাটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৪৪ সালের জুলাই মাসে। মনোজ বসু এই পত্রিকাটি সম্পাদনাসহ ‘সাহিত্যের খবর’ পত্রিকাটিও সম্পাদনা করতেন। তিনি ‘বাংলা সাহিত্য একাডেমীর’ (পশ্চিম বাংলা) সভাপতি মন্ডলীর অন্যতম এবং কলকাতার নিখিল ভারত লেখক সম্মেলন ও নিখিল ভারত বঙ্গ সাহিত্য সম্মেলনের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি সর্ব ভারতীয় ও আঞ্চলিক একাধিক সম্মেলনে পৌরহিত্য করা ছাড়াও অসংখ্য সাহিত্য-সাংস্কৃতিক সংস্থার পৃষ্ঠপেষকতা করেছেন।

জীবনে দুঃসহ অবস্থার মধ্যেও কখনও থেমে থাকেনি মনোজ বাসুর সাহিত্যচর্চা। মনোজ বসুর সাহিত্য চিন্তা তাঁর জীবনচর্যায় একান্ত অনুগামী হয়ে দেখা দিয়েছিল। জীবন অভিজ্ঞতার মধ্যে রয়েছে সাহিত্য চিন্তার প্রতিফলন। ‘আমি সম্রাট’, ‘সেই গ্রাম সেইসব মানুষ’, নিশিটুকুম্ব, ‘নবীন যাত্রা’, ‘একদা নিশিথকালে’, ‘কিংশুক’, ‘মায়াকন্যা’, ‘বন কেটে বসত’, ‘রূপবতী’, ‘সেতুবন্ধ’, ‘ঝিলমিল’ মনোজ বসুর রচনাবলী।

কলেজের ছাত্র থাকাকালীন তিনি রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন এবং স্বদেশী আন্দোলনে যোগ দেন। তাঁর রাজনৈতিক অভিজ্ঞতার ফসল জমা হয়ে আছে তাঁর লেখায়। স্বাধীনতা আন্দোলন, বীর বিপ্লবীদের ভুমিকা নিয়ে তাঁর লেখা ‘আগস্ট ১৯৪২’, ‘ভুলিনাই’ এক-একটি অমূল্য দলিল। এছাড়া ‘সৈনিক’, ‘বাঁশের কেল্লা’ প্রভৃতি এই সকল রাজনৈতিক উপন্যাসগুলিও স্মরণীয়। মনোজ বসু ভারতীয় সাংস্কৃতিক দলের প্রতিনিধি হিসেবে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করেছেন। ভ্রমণের বিচিত্র অভিজ্ঞতায় তাঁর লিখিত ‘ভ্রমণ কাহিনী’, ‘চীন দেখে এলাম’, ‘সোভিয়েতের দেশে দেশে’, ‘নতুন ইউরোপ নতুন মানুষ’, ‘পথচলি’ বিশেষভাবে সমাদৃত হয়েছে। তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থাবলীর মধ্যে বেশ কয়েকটি গ্রন্থ হিন্দী, ইংরেজী, গুজরাটি, মারাঠা, মালয়ালাম ভাষায় মুদ্রিত হয়েছে এবং বেশ কয়েকটি গ্রন্থ চলচ্চিত্রায়িত হয়েছে।

স্বদেশে ও বিদেশে লেখক পেয়েছেন অভাবনীয় স্বীকৃতি ও পুরস্কার। ‘একাডেমী পুরস্কার’ ও ‘নরসিংহদাস’ পুরস্কার, কলকাতা বিশ্বাবিদ্যালয় প্রদত্ত ‘শরৎচন্দ্র পদক ও পুরস্কার’ অমৃত বাজার পত্রিকা প্রদত্ত ‘মতিলাল ঘোষ’ পুরস্কারে তিনি ভূষিত হয়েছেন। জগৎ ও জীবনের রূপকার মনোজ বসু তাঁর লেখনীতে বিচিত্র রামধনু এঁকেছেন, সৃষ্টি করেছেন রোমান্টিক সাহিত্য জগৎ।

জন্ম যশোর জেলার কেশবপুর থানার ডোঙাঘাটা গ্রামের বিখ্যাত বসু পরিবারে মনোজ বসু জন্মগ্রহণ করেন। মধ্যবিত্ত একান্নবর্তী পরিবারের সন্তান তিনি। গ্রামে তাঁদের ছিল বংশ গৌরব ও প্রচুর খ্যাতি। তাঁর ঠাকুরদাদার লেখার অভ্যাস পিতা রামলাল বসুর মধ্যেও ছিল। তিনি ভাল কবিতা লিখতে পারতেন। দুই পুরুষের সাহিত্যচর্চার সঞ্চয় ছিল মনোজবসুর লেখক হওয়ার পাথেয়। মনোজ বসু সাত বছর বয়সেই বঙ্কিম বাবুর লেখা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে কবিতা লিখতে শুরু করেন। ১৯০৯ সালের জুন মাসে মাত্র আট বছর বয়সে লেখক মনোজ বসু হলেন পিতৃহীন। তখনও পাঠশালার গন্ডি শেষ হয়নি। লেখক হওয়ার সাধ, স্বপ্ন, বাসনা সব কিছুর উপর পড়ল যবনিকা। এক নিদারম্নন অনিশ্চয়তার মধ্যে প্রথমে নিজ গ্রামে পরে কলকাতায় তাঁর শিক্ষাজীবন চলতে থাকে। কলকাতায় তিনি ভর্তি হন রিপন কলেজিয়েট স্কুলে। ১৯১৯ সালে ম্যাট্রিক পরীক্ষায় তিনি কয়েকটি বিষয়ে লেটারসহ প্রথম বিভাগে পাশ করেন। এর পর তিনি বাগেরহাট কলেজে ভর্তি হন। এই বাগেরহাট কলেজের ছাত্র থাকাকালীন তিনি রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন এবং স্বদেশী আন্দোলনে যোগ দেন। ১৯২২ সালে তিনি আই. এ পরীক্ষায় পাশ করেন। ১৯২৪ সালে সাউথ সাবারবন কলেজ (বর্তমান আশুতোষ কলেজ) থেকে ডিস্টিংশন নিয়ে বি. এ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। শুরু করলেন আইন পড়া। কিন্তু অর্থনৈতিক কারণে তিনি আইন পড়া বন্ধ করতে বাধ্য হন। অতঃপর তিনি যোগ দিলেন শিক্ষকতায়। ভবানীপুর সাউথ সাবারবন বিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন তিনি শিক্ষকতা করেন। সাহিত্যে আকৃষ্ট হয়ে পরে তিনি পরিপূর্ণভাবে সাহিত্যেচর্চার জন্যে শিক্ষকতা পেশা ত্যাগ করেন। শিক্ষকতাকালীন সময়ে শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি স্কুলের পাঠ্য পুস্তক লেখার কাজেও মনোনিবেশ করেন। ফলশ্রম্নতি হিসেবে পরবর্তীতে তিনি ‘বেঙ্গল পাবলিশার্স’ নামে একটি প্রকাশনী সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন।

কৃতজ্ঞতা - প্রতাপ চন্দ্র সাহা.

নীচে তার রচনার ওপর ক্লিক করলে নির্দিষ্ট বইটি পেতে পারেন।

অ - ঔ ক - ন প - ম, শ স, ষ, র, ল, য, হ, ক্ষ

















































































































একটি আবেদন - 
কেউ যদি কোনো বই/ পত্রিকা স্ক্যান করতে / দিতে চান 
বা সূচীপত্র ও.সি.আর. করতে চান - 
তাহলে নিচের ইমেলে যোগাযোগ করবেন 

babuipakhi819@gmail.com 

No comments:

Post a Comment