বাংলা ভাষার সমস্ত লেখক - এক জায়গায় ক্রমানুসারে
নীরেন্দ্র নাথ চক্রবর্তী
নীরেন্দ্র নাথ চক্রবর্তী
জন্ম - ১৯শে অক্টোবর, ১১৯২৪ মৃত্যু - ২৫শে ডিসেম্বর, ২০১৮
ফরিদপুর, বাংলাদেশ কলকাতা, ভারত
" টালমাটাল পায়ে
রাস্তার এক-পার থেকে অন্য পারে হেঁটে চলে যায়
সম্পূর্ণ উলঙ্গ এক শিশু।
****
ভিখারি-মায়ের শিশু,
কলকাতার যিশু,
****
দু’দিকে উদ্যত মৃত্যু, তুমি তার মাঝখান দিয়ে
টলতে টলতে হেঁটে যাও।
যেন মূর্ত মানবতা, সদ্য হাঁটতে শেখার আনন্দে
সমগ্র বিশ্বকে তুমি পেয়ে চাও
হাতের মুঠোয়। "
উপরোক্ত লাইনগুলি বিখ্যাত কবি-সাহিত্যিক নীরেন্দ্র নাথ চক্রবর্তী রচিত "কলকাতার যীশু" নামক কবিতা থেকে উদ্ধৃত করা হয়েছে । নিজের কবিতা নিয়ে তিনি বলতেন, 'কবিতা লেখায় আমার কল্পনার হাত নেই তেমন। চারপাশে যা দেখি, শুনি, যা অভিজ্ঞতা হয় ঘুরতে ঘুরতে, তাই নিয়েই আমার কবিতা।' চিত্তরঞ্জন এভিনিউর রাস্তা পার করা উলঙ্গ এক শিশুকে নিয়েই তিনি লিখেছিলেন 'কলকাতায় যিশু।'
নীরেন্দ্রনাথ ছিলেন একাধারে কবি, একাধারে তিনি ছিলেন কবি ও ছড়াকার, অন্যদিকে প্রাবন্ধিক, ঔপন্যাসিক, গল্পকার এবং সম্পাদক। অমলকান্তি রোদ্দুর হতে চেয়েছিল, উলঙ্গ রাজার মতো কবিতার স্রষ্টা নীরেন্দ্রনাথ।
নীরেন্দ্রনাথ ছিলেন একাধারে কবি, একাধারে তিনি ছিলেন কবি ও ছড়াকার, অন্যদিকে প্রাবন্ধিক, ঔপন্যাসিক, গল্পকার এবং সম্পাদক। অমলকান্তি রোদ্দুর হতে চেয়েছিল, উলঙ্গ রাজার মতো কবিতার স্রষ্টা নীরেন্দ্রনাথ।
বাংলা কবিতার ভীষ্ম পিতামহ বলেও তাঁর পরিচিতি। সাংবাদিক নীরেন্দ্রনাথ। সত্যজিতের শ্যুটিং নিয়ে তাঁর কাজ আজও অতুলনীয়। বাংলা কী লিখবেন কেন লিখবেন অত্যন্ত সংক্ষেপে জরুরী আলোচনা করেছেন বানানবিধি নিয়ে।
এর বাইরেও তাঁর অন্য আরেক পরিচিতি রয়েছে। বাংলা সাহিত্যের গোয়েন্দা কাহিনীর ধারায় তাঁর অবদান গোয়েন্দা চারু চন্দ্র ভাদুড়ি বা ভাদুড়ি মশাই। প্লটের মুন্সিয়ানা নয়, সহজ সাদামাটা বর্ণনাতেই বাজার মাত করার মতো না হলেও স্বাদ বদলের সুযোগ রেখেছিলেন তিনি।
তিনি দীর্ঘদিন ছিলেন আনন্দমেলার সম্পাদক। আমাদের প্রিয় সুনীলের কাকাবাবু সন্তু,শীর্ষেন্দুর অদ্ভূতুড়ে সিরিজ দিনের আলো দেখতেই পেতো না তিনি না থাকলে। টিনটিনের সেই অসামান্য অনুবাদের কথাই বা ভুলি কী করে। সম্পাদক হিসেবে তিনি কতটা সফল সে সময়ের আনন্দমেলা দেখলেই মালুম হয়।
তাঁর শৈশবের পুরোটাই কেটেছে পূর্ববঙ্গে, যা বর্তমান বাংলাদেশ, ঠাকুরদা আর ঠাকুমার কাছে। কবির ঠাকুরদা কর্মজীবন কাটিয়েছেন কলকাতায়। কর্মজীবন শেষে ৫০ বছর বয়সে কলকাতার পাট চুকিয়ে বাংলাদেশের ফরিদপুর বাড়ি চান্দ্রা গ্রামে চলে আসেন। তার বাবা কলকাতাতেই ছিলেন। কলকাতার একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাইস প্রিন্সিপাল হিসেবে কাজ করতেন। দুই বছর বয়সে কবির মা বাবার কর্মস্থল কলকাতায় চলে যান। কবি থেকে যান তাঁর ঠাকুরদা লোকনাথ চক্রবর্তীর কাছে। গ্রামে কাটিয়েছেন মহা স্বাধীনতা—ইচ্ছেমতো দৌড়ঝাঁপ করে। কখনো গাছে উঠছেন; কখনো আপন মনে ঘুরেছে গ্রামের এই প্রাপ্ত থেকে অন্যপ্রাপ্তে। চার বছর বয়সে কবির কাকিমা বলছিলেন, 'তুই তো দেখছি কবিদের মতোন কথা বলছিস!' সেই সময়েই মুখস্থ করেছিল গ্রামে কবিয়ালরা, কবিগান, রামায়ণ গান। গ্রামের দিনগুলো খুব সুন্দর কেটেছেন তাই তিনি এ গ্রামের বাড়ি ছেড়ে কলকাতায় যেতে চাইতেন না।
১৯৫১ সালে যোগ দিয়েছিলেন ‘আনন্দবাজার’ পত্রিকায়। দীর্ঘ সময় তিনি ‘আনন্দমেলা’ পত্রিকা সম্পাদনা করেছেন। নীরেন্দ্রনাথের প্রথম কবিতার বই ‘নীল নির্জন’, প্রকাশিত হয়েছিল ১৯৫৪ সালে। এরপর প্রকাশিত হয়েছে তাঁর লেখা ‘অন্ধকার বারান্দা’, ‘নিরক্ত করবী’, ‘নক্ষত্র জয়ের জন্য’, ‘আজ সকালে’ সহ অসংখ্য কবিতার বই।
বিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয়ার্ধে আবির্ভুত আধুনিক বাংলা কবিদের অন্যতম। উলঙ্গ রাজা তাঁর অন্যতম বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ। নীরেন্দ্রনাথের প্রথম কবিতার বই ‘নীল নির্জন’, প্রকাশিত হয়েছিল ১৯৫৪ সালে। এরপর প্রকাশিত হয়েছে তাঁর লেখা ‘অন্ধকার বারান্দা’, ‘নিরক্ত করবী’, ‘নক্ষত্র জয়ের জন্য’, 'সময় বড় কম', 'ঘুমিয়ে পড়ার আগে', 'আজ সকালে'। সহ অসংখ্য কবিতার বই। এই কাব্যগ্রন্থ লেখার জন্য তিনি ১৯৭৪ খ্রিস্টাব্দে সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার লাভ করেন। পেয়েছেন উল্টোরথ পুরস্কার, তারাশঙ্কর স্মৃতি পুরস্কার। ২০০৭ সালে তাঁকে ডক্টরেট সম্মানে ভূষিত করে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। পশ্চিমবঙ্গ সরকার তাঁকে বঙ্গবিভূষণ সম্মান দিয়ে সম্মানিত করেছিল।
অ - ঔ | ক - ন | প - ম, শ | স, ষ, র, ল, য, হ, ক্ষ |
---|---|---|---|
একটি আবেদন -
কেউ যদি কোনো বই/ পত্রিকা স্ক্যান করতে / দিতে চান
বা সূচীপত্র ও.সি.আর. করতে চান -
তাহলে নিচের ইমেলে যোগাযোগ করবেন
কেউ যদি কোনো বই/ পত্রিকা স্ক্যান করতে / দিতে চান
বা সূচীপত্র ও.সি.আর. করতে চান -
তাহলে নিচের ইমেলে যোগাযোগ করবেন
babuipakhi819@gmail.com
No comments:
Post a Comment