বাংলা ভাষার সমস্ত লেখক - এক জায়গায় ক্রমানুসারে
চিত্রা দেব
জন্ম - ২৪শে নভেম্বর, ১৮৪৩ মৃত্যু - ১লা অক্টোবর, ২০১৭
পূর্ণিয়া, বিহার, ভারত কলকাতা, ভারত
চিত্রা দেব
জন্ম - ২৪শে নভেম্বর, ১৮৪৩ মৃত্যু - ১লা অক্টোবর, ২০১৭
পূর্ণিয়া, বিহার, ভারত কলকাতা, ভারত
চিত্রা দেব জন্মেছিলেন বিহারের পূর্ণিয়াতে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা সাহিত্যে এম. এ ও পি-এইচ. ডি ডিগ্রি অর্জন করেন। গবেষণার বিষয় ছিল মল্লরাজ-সভাকবি শঙ্কর কবিচন্দ্রের মহাভারত। বাংলার সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ইতিহাসে নারীর ভূমিকা অনুসন্ধান লেখিকার প্রিয় বিষয়। ‘অন্তঃপুরের আত্মকথা”, “মহিলা ডাক্তার: ভিনগ্রহের বাসিন্দা’ সেই অন্বেষার ফসল। লেখিকার অন্যতম প্রধান শখ দেশ-বিদেশে ভ্ৰমণ।
চিত্রা দেব আনন্দবাজার পত্রিকায় কাজ শুরু করেন। তিনি পত্রিকার গ্রন্থাগারের দায়িত্বে ছিলেন। আজীবন তিনি এই পত্রিকা দপ্তরে কাজ করেছেন। গবেষনামূলক রচনার পাশাপাশি অনুবাদ ও সম্পাদনাও করেতেন।
তাঁর সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বই ‘ঠাকুরবাড়ির অন্দরমহল’ যা একাধিক ভাষায় অনূদিত হয়। এছাড়া ‘ঠাকুরবাড়ির বাহির মহল’, বিবাহবাসরের কাব্যকথা, আপন খেয়ালে চলেন রাজা, রূপবতীর মালা, ভারতের নারী ইত্যাদি বই তিনি রচনা করেন। শিশুদের জন্যে কয়েকটি ঐতিহাসিক ছোটগল্প রচনা করেছেন। কিশোরপাঠ্য গ্ৰন্থ ‘‘বুদ্ধদেব কেমন দেখতে ছিলেন, ‘সিদ্ধিদাতার অন্তর্ধন’, ‘অদ্ভুত যত হাতির গল্প” ইত্যাদিতে তার দক্ষতার পরিচয় পাওয়া যায়। এ ছাড়া লিখেছেন ঐতিহাসিক ব্যক্তিদের অবিস্মরণীয় প্রণয়কাহিনী অবলম্বনে গল্পগ্রন্থ ‘রাজকীয় প্ৰেমকথা” । তার সম্পাদিত গ্রন্থ সরলাবালা সরকার রচনাসমগ্র, কবিচন্দ্রের মহাভারত, বিষ্ণুপুরী রামায়ণ ইত্যাদি বিখ্যাত। অনূদিত গ্রন্থের মধ্যে প্রেমচন্দের গোদান, নির্মলা ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এ ছাড়া তিনি কবি চন্দ্রের মহাভারত, বিষ্ণুপুরী রামায়ণ হিন্দি থেকে বাংলায় অনুবাদ করেন।
ঠাকুরবাড়ির অন্দরমহল বইয়ের জন্যে পেয়েছেন বাংলা আকাদেমি পুরস্কার। বঙগীয় সাহিত্য পরিষৎ এর চিত্তরঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায় জন্মশতবার্ষিকী পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছেন চিত্রা দেব।
২ অক্টোবর, ২০১৭ কলকাতায় মারা যান চিত্রা দেব। তিনি মায়াস্থেশিয়া রোগে দীর্ঘকাল ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর। তিনি অবিবাহিতা ছিলেন।
No comments:
Post a Comment