বাংলা ভাষার সমস্ত লেখক - এক জায়গায় ক্রমানুসারে
রতন ভট্টাচার্য
ফরিদপুর, বাংলাদেশ কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত
জন্ম ৪ঠা শ্রাবণ, ১৩৪০ (ইং ১৯৩৩)। বাবা বিরাজমোহন ভট্টাচার্য, মা কমলা ভট্টাচার্য। কৈশোর কেটেছে পূর্ববঙ্গের ফরিদপুর জেলার বাসুদেব বাটি গ্রামে। ক্লাস এইটে পড়ার সময়ে দেশভাগের ফলে চলে এলেন এপার বাংলায়— হাওড়ার সালকিয়ায়। মণীন্দ্রচন্দ্র কলেজ থেকে বিএ পাশ করে বাংলায় স্নাতকোত্তর করেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। যৌবনের শুরুতে যুক্ত থেকেছেন বিভিন্ন পেশায়— বাস কন্ডাক্টরি থেকে রেশন দোকানে খাতা লেখার কাজ পর্যন্ত। শেষ পর্যন্ত শিক্ষকতার চাকরিতে স্থায়ী হন।
তাঁর প্রথম গল্প ‘পিঞ্জর’ ছাপা হয়েছিল ‘দেশ’ পত্রিকায় ১৯৫৮ বা ১৯৫৯ সালে। প্রথম গল্পই তাঁকে রাতারাতি বিখ্যাত করে দেয়। এরপর কিন্তু প্রায় ১৫ বছর তিনি আর কোনও লেখালেখি করেন নি।
১৯৭৮ সালে আবার কলম ধরলেন— দেশ পত্রিকায় গল্প লিখলেন ‘তৃতীয় মহাযুদ্ধ’। একটানা ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত লিখলেন অজস্র গল্প— কৃষ্ণকীর্তন, সমুদ্র, রাজার এঁটো, ক্রীতদাসীর স্বাধীনতা, জন্মদিন ইত্যাদি। তাঁর লেখা শেষ গল্পের নাম ছিল 'ঘোড়সওয়ার'। ছোট গল্পের তুলনায় রতন ভট্টাচার্য উপন্যাস লিখেছেন খুবই কম। প্রায় শতাধিক ছোট গল্প লিখেছেন তিনি, উপন্যাসের সংখ্যা সাত-আটটি। তাঁর প্রথম উপন্যাস ‘স্বপ্নের পুরুষ ও জিপগাড়ি’।
১৯৯৩ সালের জুন মাস থেকে ‘পাক্ষিক বসুমতী’ পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ পেতে শুরু করে দেশ ভাগের পর বাঙ্গালীর পূনর্বাসন এবং পরবর্তীতে আসামের বাঙালি খেদাও আন্দোলনের ফলে বাঙালিদের জীবনের বিপর্যয়ের পটভূমিকায় রচিত তাঁর শেষ উপন্যাস ‘তৃণ’। কিন্তু কয়েকটি সংখ্যা প্রকাশের পরেই নভেম্বর মাসে বন্ধ হয়ে যায় পত্রিকাটি। উপন্যাসটিও আর সম্পূর্ণ প্রকাশিত হয়নি।
১৯৯৩ এর পরে আবার লেখার জগত থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন তিনি। ৫ আশ্বিন ১৪১৩ (ইং ২০০৬) প্রয়াত হন স্বল্প সময়ের জন্য বাংলা সাহিত্যের জগতে আবির্ভূত হওয়া এই লেখক। এটাই দুর্ভাগ্যজনক যে বাংলা ছোট গল্পের বেশ কিছু শ্রেষ্ঠ নিদর্শনের রচয়িতার সঙ্গে সেইভাবে পরিচিত নন আজকের পাঠকেরা। সেরা পঁচিশটি গল্প প্রকাশ হয় পরম্পরা প্রকাশন থেকে। তাঁর বই গুলোর মধ্যে স্বপ্নের পুরুষ ও জীপগাড়ি, দুফোটা সমুদ্র, রিহার্সাল রূমে খুন, রেলগাড়ির কামড়ায় প্রভৃতি বিখ্যাত।
সাহিত্যজগত তাকে রতন ভট্টাচার্য নামেই চেনে। পরিচিতরাও তাকে রতন ভট্টাচার্য নামেই জানলেও স্কুলের খাতার ও কর্মক্ষেত্রে তাঁর নাম সচীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য। অনেকেই এই লেখককে বিস্মৃতির কবলে ফেলে দিলেও উলুখড় পত্রিকা তাকে নিয়ে বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ করেছে।
তাঁর মৃত্যুর পর ঌঋকাল প্রকাশনা সংস্থা থেকে ২০২০ সালের বইমেলাতে প্রকাশিত হয় ৪৫৫ পৃষ্ঠার সম্পূর্ণ 'তৃণ' উপন্যাসটি।
কৃতজ্ঞতা - অভিজিৎ ব্যানার্জী
নীচে তার রচনার ওপর ক্লিক করলে নির্দিষ্ট বইটি পেতে পারেন।
অ - ঔ | ক - ন | প - ম, শ | স, ষ, র, ল, য, হ, ক্ষ |
---|---|---|---|
একটি আবেদন -
কেউ যদি কোনো বই/ পত্রিকা স্ক্যান করতে / দিতে চান
বা সূচীপত্র ও.সি.আর. করতে চান -
তাহলে নিচের ইমেলে যোগাযোগ করবেন
কেউ যদি কোনো বই/ পত্রিকা স্ক্যান করতে / দিতে চান
বা সূচীপত্র ও.সি.আর. করতে চান -
তাহলে নিচের ইমেলে যোগাযোগ করবেন
babuipakhi819@gmail.com
No comments:
Post a Comment