বিশেষ ঘোষণা

বিশেষ ঘোষণাঃ কারিগরি কারণ বশতঃ বেশ কিছু বইয়ের লিঙ্ক কাজ করছে না। সেগুলো ধীরে ধীরে ঠিক করে দেওয়ার কাজ চলছে। কিছু বই অপেক্ষাকৃত ভালো করতে গিয়ে একটু সময় লাগছে। ফেসবুক গ্রুপে প্রত্যেক আপডেট জানিয়ে দেওয়া হবে। মাঝে মাঝে নতুন বই দেবার ও চেষ্ট চলছে ।

পরিমল গোস্বামী

বাংলা ভাষার সমস্ত লেখক - এক জায়গায় ক্রমানুসারে

পরিমল গোস্বামী

জন্ম - ১লা সেপ্টেম্বর, ১৮৯৭                                                                                           মৃত্যু - ১৯৭৬
ফরিদপুর, বাংলাদেশ 

 ছদ্মনাম ঃ এক-কলমী

জন্ম: ১ সেপ্টেম্বর, ১৮৯৭, বাংলাদেশের ফরিদপুরে। ব্যঙ্গাত্মক, কৌতুকপ্রদ ও রসরচনায় সিদ্ধহস্ত ছিলেন। যে-সব লেখক রবীন্দ্রোত্তর যুগে বাংলা ভাষাকে বিশেষ ভাবে সমৃদ্ধ করেছেন, পরিমল গোস্বামী তাদের মধ্যে অন্যতম। ‘প্রবাসী’, ‘শনিবারের চিঠি’, ‘যুগান্তর’ পত্রিকার সঙ্গে গভীর ভাবে জড়িয়ে ছিলেন। কিছুকাল ‘শনিবারের চিঠি’ সম্পাদনাও করেন। ‘এক-কলমী’ ছদ্মনামে অনেকদিন ‘যুগান্তর’ পত্রিকায় ব্যঙ্গাত্মক ও সরস রচনা করে গেছেন। ফটোগ্রাফি-চর্চাতেও তিনি বিশেষ পারদর্শী ছিলেন। উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ: ‘পুরুষের ভাগ্য’, ‘পথে পথে’, ‘ঘুঘু’, ‘মারকে লেঙ্গে’, ‘ম্যাজিক লণ্ঠন’ ইত্যাদি।

তিনি ছিলেন সম্পাদক ও বেতারজগতের মানুষ। সেই সূত্রেই রবীন্দ্রনাথ থেকে শুরু করে সে কালের প্রায় সব উজ্জ্বল সাহিত্যিকের সঙ্গ করেছেন। একের পর এক লিখে গিয়েছেন সেই স্মৃতিকথা, ছটি সাড়া জাগানো বইয়ে স্মৃতিচিত্রণ, দ্বিতীয় স্মৃতি, আমি যাঁদের দেখেছি, পত্রস্মৃতি, যখন সম্পাদক ছিলাম আর পুনর্যাত্রা স্মৃতিপথে। 

পরিমল গোস্বামীর কার্টুনে আর এক রবীন্দ্রনাথকেও দেখি আমরা, রবি ঠাকুর হাটে ঝুড়ি নিয়ে বসে। ১৯২১-এ পরিমল গোস্বামী ছবি আঁকা শিখতে এবং রবীন্দ্র-সান্নিধ্যে থাকতে শান্তিনিকেতনে যান এবং কলাভবনে ভর্তি হন। স্বাস্থ্যের কারণে বেশিদিন সেখানে থাকা সম্ভব না হলেও ছবি আঁকা শেখার মনটা তাঁর হারিয়ে যায়নি। পরে কলকাতায় ফিরে এম এ পাশ করে ১৯২৪-এ সরকারি আর্ট স্কুলের পঞ্চম বার্ষিক শ্রেণিতে ভর্তি হন এবং কিছু দিন আঁকা শেখেন। সেই শিক্ষা আর সরস মনটি বার বার ধরা দিয়েছে কার্টুনগুলির মধ্যে।

বন্ধু পরিমল গোস্বামীর সঙ্গে সাহিত্যিক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি মৌখিক চুক্তি ছিল --- দুই বন্ধুর মধ্যে যিনি আগে মারা যাবেন তিনি যেভাবেই হোক পরলোকে পৌঁছানোর ব্যাপারটা মেসেজ পাঠিয়ে মর্ত্যে জানিয়ে দেবেন । বিভূতিভূষণ আগে মারা যান । পরিমল গোস্বামী দীর্ঘদিন বিভূতিভূষণের মেসেজের অপেক্ষায় থেকে থেকে শেষে নিশ্চিত সিদ্ধান্ত নেন ---- পরলোক আসলে শোকাতুর মানুষকে সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য বানানো গল্প । পরিমল গোস্বামী ভণ্ডামিকে ঘৃণা করতেন । তাই স্ত্রী মারা যাওয়ার পর তিনি শ্রাদ্ধ-শান্তি ইত্যাদি পারলৌকিক ক্রিয়াকর্ম বর্জন করেন । এজন্য কলেজস্ট্রিট বইপাড়ায় পরিমল গোস্বামীর বিরুদ্ধে নিন্দার ঝড় বইয়ে দেন সংস্কার-অনুগামীর দল ।

তাঁর পুত্র প্রখ্যাত রসসাহিত্যিক ও কার্টুনিস্ট হিমানীশ গোস্বামী বাবার ধারাটি বহন করেছেন।


কৃতজ্ঞতা - .

নীচে তার রচনার ওপর ক্লিক করলে নির্দিষ্ট বইটি পেতে পারেন।

অ - ঔ ক - ন প - ম, শ স, ষ, র, ল, য, হ, ক্ষ

















































































































একটি আবেদন - 
কেউ যদি কোনো বই/ পত্রিকা স্ক্যান করতে / দিতে চান 
বা সূচীপত্র ও.সি.আর. করতে চান - 
তাহলে নিচের ইমেলে যোগাযোগ করবেন 

babuipakhi819@gmail.com 

No comments:

Post a Comment