বাংলা ভাষার সমস্ত লেখক - এক জায়গায় ক্রমানুসারে
হরিনারায়ন চট্টোপাধ্যায়
জন্ম - ৩১শে মার্চ, ১৯১৬ মৃত্যু - ২০ জানুয়ারী, ১৯৮১
কলকাতা, ভারত কলকাতা, ভারত
হরিনারায়ন চট্টোপাধ্যায়
জন্ম - ৩১শে মার্চ, ১৯১৬ মৃত্যু - ২০ জানুয়ারী, ১৯৮১
কলকাতা, ভারত কলকাতা, ভারত
"যাবার দিনে এই কথাটি বলে যেন যাই,
যা দেখেছি যা পেয়েছি তুলনা তাঁর নাই।"
হরিনারায়ন চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম ১৯১৬ সালের ৩১শে মার্চ, বাংলা ১৩২৩ সনের ১৭ চৈত্র। হরিনারায়নের অর্ধেক জীবন বার্মাতে কাটলেও জন্ম হয়েছিল ভবানীপুরের কেদার বসু লেনের নিজস্ব বাড়িতে। বাবা কালিদাস চট্টোপাধ্যায়, মা নগেন্দ্রবালা দেবী। কালিদাস বাবু কর্মসূত্রে বার্মাতে থাকতেন।
জীবনের প্রথম ২৪ বছর তিনি বার্মাতে ছিলেন। সেখানেই তাঁর শিক্ষা। রেঙ্গুনের বেঙ্গল একাডেমি স্কুল আর বেঙ্গল ইউনিভার্সিটি কলেজ থেকে কলাবিদ্যার স্নাতক। সেখানেই আইন পাশ করে কর্মজীবনের সূচনা। সাহিত্যজীবন শুরু হয় ১৯৪০ সালে কলকাতায় এসে। বীমা কর্পোরেশনের উচ্চপদস্থ আধিকারিক হিসেবে ভারতবর্ষের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে অনেক অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেন এবং তাঁর রচনায় সেই অভিজ্ঞতার ঋদ্ধ ফসল আমরা দেখতে পাই। এর আগে ব্যাংকের ম্যানেজার পদেও চাকরি করেছেন।
মূলত ছোট গল্পকার হরিনারায়ান ছিলেন ভার্সেটাইল। যেমন উপন্যাস তেমন ছোটগল্প, তেমনি ছোটোদের গল্প - সে গল্পের আবার কত ভ্যারাইটি! ভূতের গল্প, অ্যাডভেঞ্চার গল্প, হাসির গল্প, গোয়েন্দা গল্প, কী যে লেখেন নি তিনি। সেসব গল্পের মজা হচ্ছে একবার ধরলে আর ছাড়বার উপায় নেই। তাঁর প্রথম উপন্যাস মোহনা (পরে গ্রন্থাকারে নাম ইরাবতী) ধারাবাহিক প্রকাশিত হয়েছিল দেশ পত্রিকায়। অন্যান উপন্যাসের মধ্যে আছে চন্দনবাঈ, বাসরলগ্ন, মধ্যরাতের মেঘ, নারী ও নগরী, ক্লান্ত বিহঙ্গী প্রভৃতি। ছোটগল্পের বই মনের সীমানা, ফাঁকি, দ্বিধা, দাঁত, ডাকাত, প্রদীপের নীচে, তৃতীয় পক্ষ, শিখন্ড, ঘরণী প্রভৃতি এককালে প্রভূত জনপ্রিয়তা লাভ করেছিল।
ছোটদের গল্পেও হরিনারায়ন ছিলেন সিদ্ধ হস্ত এবং জনপ্রিয়। তাঁর হাসির গোয়েন্দা গল্প (যথা ভেজিটেবল গোয়েন্দা) এক নতুন শ্রেণীর সূচনা করেছিল। ছোটদের জন্য উপন্যাস ও গল্প দুই-ই রচনা করেছেন তিনি। ভঁয়ের মুখোশ, বোলতার হূল, হলুদ আতঙ্ক, রাতের প্রহরী, সামন্ত বাড়ি সহ বহু ভূত, অ্যাডভেঞ্চার, রুদ্ধশ্বাস কাহিনী রচনা করে গেছেন। অথচ তিনি তেমন ভাবে সমালোচকদের কাছ থেকে স্বীকৃতি পান নি।
অনেকেই জানেন না যে প্রখ্যাত রসশিল্পী ভানু বন্দ্যোপাধায়ের অনেক রসিকতা হরিনারায়ন বাবুই লিখে দিতেন। ছোটদের সঙ্গে পত্রমিতালী চলত। লিখে গেছেন অনেক শ্যামা সঙ্গীত। তাঁর লেখা অভিসারিকা, অশান্ত ঘূর্ণি, জিটি রোড গল্পগুলো নিয়ে সিনেমা হয়েছে। চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুন্ঠন সিনেমায় যতীন্দ্রমোহন সেনগুপ্তের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন। বেতারে অনেক গল্প পাঠ করেছেন।
তিনি মতিলাল পুরষ্কার পেয়েছেন ১৯৭২ সালে, তারাশঙ্কর পুরষ্কার পেয়েছেন ১৯৭৬ সালে।
বার্মা প্রত্যাগত ভারতীয়দের তখন প্রতিবছর একটি মিলন সভা হত। প্রতি বছর তিনি সেখানে যেতেন। সেখানেই উপরে দেওয়া কবিতার লাইন গুলি আবৃত্তি করতে করতে তিনি অজ্ঞান হয়ে যান। সে জ্ঞান আর ফেরেনি। ১৯৮১ সালের ২০ জানুয়ারী রামকৃষ্ণ মিশন সেবা প্রতিষ্ঠান হাসপাতালে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।
কৃতজ্ঞতা - দেবাশিস তেওয়ারী.
নীচে তার রচনার ওপর ক্লিক করলে নির্দিষ্ট বইটি পেতে পারেন।
অ - ঔ | ক - ন | প - ম, শ | স, ষ, র, ল, য, হ, ক্ষ |
---|---|---|---|
একটি আবেদন -
কেউ যদি কোনো বই/ পত্রিকা স্ক্যান করতে / দিতে চান
বা সূচীপত্র ও.সি.আর. করতে চান -
তাহলে নিচের ইমেলে যোগাযোগ করবেন
কেউ যদি কোনো বই/ পত্রিকা স্ক্যান করতে / দিতে চান
বা সূচীপত্র ও.সি.আর. করতে চান -
তাহলে নিচের ইমেলে যোগাযোগ করবেন
babuipakhi819@gmail.com
No comments:
Post a Comment