বিশেষ ঘোষণা

বিশেষ ঘোষণাঃ কারিগরি কারণ বশতঃ বেশ কিছু বইয়ের লিঙ্ক কাজ করছে না। সেগুলো ধীরে ধীরে ঠিক করে দেওয়ার কাজ চলছে। কিছু বই অপেক্ষাকৃত ভালো করতে গিয়ে একটু সময় লাগছে। ফেসবুক গ্রুপে প্রত্যেক আপডেট জানিয়ে দেওয়া হবে। মাঝে মাঝে নতুন বই দেবার ও চেষ্ট চলছে ।

জ্যোতিরিন্দ্র নন্দী

বাংলা ভাষার সমস্ত লেখক - এক জায়গায় ক্রমানুসারে

জ্যোতিরিন্দ্র নন্দী
জন্ম - ২০শে জুলাই, ১৯১২                                                                       মৃত্যু - ১লা আগস্ট, ১৯৮২
কুমিল্লা, বাংলাদেশ                                                                                                    কলকাতা, ভারত

ছদ্মনাম ঃ জ্যোৎস্না রায়।

"বারো ঘর এক উঠোন লেখার পর 
সমালোচকদের নিন্দা আক্রমণের যেমন কমতি ছিল না, 
তেমনি আমার ভাগ্যে প্রশংসা বাহবাও অজস্র জুটেছিল। 
পাল্লার কোন দিকটা ভারি ছিল বলা মুশকিল। 
ওজন করে দেখিনি। দেখার উৎসাহ ছিল না।"

৪৭/২, বেলেঘাটা বারোয়ারিতলা লেন। এখানকার বাসাটা ভারী অদ্ভুত— বাড়ির মাঝখানে একটা বড় উঠোন। বিচিত্র পেশার মোট এগারো ঘর ভাড়াটে। তাঁদের বেশির ভাগই পূর্ববঙ্গের। এমনই একটি ঘরের দৃশ্য— খোলা দরজার সামনে বিশাল এক ফাঁকা মাঠ। সেটা ঘরের দক্ষিণ দিক। তাই প্রচুর আলো এসে পড়ছে ঘরের ভিতরে ছিপছিপে একহারা শরীরটার ওপর। আধশোওয়া হয়ে লোকটি কেদারায় বসে আছেন, ভাবছেন আর লিখছেন। সামনের চেয়ার-টেবিলের উপরে কিছু কাগজ আর কলম। সময়টা ১৯৫৪-৫৫ সাল। ‘বারো ঘর এক উঠোন’ জন্ম নিচ্ছিল আস্তে আস্তে।

১৯১২ সালের ২০ অগস্ট, এখনকার বাংলাদেশের কুমিল্লা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন ‘ধনু’। এ জায়গা ছিল তাঁর মাতুলালয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া হাইস্কুলে শিক্ষকতা করতেন তাঁর বাবা অপূর্বচন্দ্র নন্দী। পরে অবশ্য ওকালতি পেশায় যোগ দিয়েছিলেন। জন্মের বেশ কয়েক দিন পরে মা চারুবালাদেবী তাকে নিয়ে চলে আসেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। এই শহরেই, তিতাসের পাড়ে কাটে ধনু অর্থাত্ জ্যোতিরিন্দ্রের ছেলেবেলা।

বয়স তখন সাড়ে চার। মাকে ছাড়াই বাবার সঙ্গে প্রথম বার মামাবাড়ি যায় ধনু। সমবয়সী দুই মামার কাছ থেকে পাখির পালক, বেলেপাথর আর সকালের কুড়োনো শুকনো বকুল ফুল ও তার গন্ধ ছোট্ট মনে দাগ কাটে।

জ্যোতিরিন্দ্র নাম নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাইনর স্কুলে ভর্তি হলেন। লেখাপড়ার সঙ্গে সঙ্গেই শুরু হয়েছিল ছবি আঁকা, বেলেপাথর দিয়ে পাহাড় বানানো এবং পরবর্তী কালে সাহিত্যের পাঠ। 

মাইনর স্কুলের বার্ষিক অনুষ্ঠানে বাবার শিখিয়ে দেওয়া ‘যাও পাখি যাও উড়ে’ কবিতাটি আবৃত্তি করে প্রথম পুরস্কারের বইটি নিয়ে সোজা মায়ের রান্নাঘরে গিয়ে বসে ছোট্ট জ্যোতিরিন্দ্র। প্রথম হওয়া এবং পুরষ্কার পাওয়ার থেকেও তখন তার বেশি প্রিয় কড়াইতে রান্না হওয়া ডালের গন্ধ। সে দিনের সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার, মহকুমা হাকিম, ডেপুটি মুন্সেফ, উকিল-মোক্তার, ডাক্তার-কবিরাজ মিলিয়ে প্রায় তিনশো ছাত্র-অভিভাবক।

মাইনর স্কুলের পর ব্রাহ্মণবাড়িয়া অন্নদা হাইস্কুলে ভর্তি হন জ্যোতিরিন্দ্র। সেখানেই ক্লাসের এক মাস্টারমশাইয়ের উৎসাহে কবিতা লেখা শুরু। কবিতার খাতার নাম ছিল ‘ঝরনা’। এই স্কুলেও আবৃত্তি করে প্রথম পুরস্কার লাভ করেন জ্যোতিরিন্দ্র— রবীন্দ্রনাথের ‘গল্পগুচ্ছ’-এর প্রথম খন্ড। ১৯৩০ সালে এই স্কুল থেকেই ম্যাট্রিকুলেশন পাশ করেছিলেন তিনি।

১৯৩২-এ কুমিল্লার ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে আইএসসি পাশ করে ওই কলেজেই স্নাতক স্তরে ভর্তি হলেন জ্যোতিরিন্দ্র। এর পর ১৯৩৫ সালে প্রাইভেটে বিএ পাশ করেন তিনি।

তখন জ্যোতিরিন্দ্র নন্দী কলকাতার জে ওয়ালটার থমসন-এ কর্মরত। কামিনীকুমার ধরচৌধুরী ও ক্ষীরোদাদেবীর মধ্যম কন্যা পারুলের সঙ্গে ১৯৪৬ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি তাঁর বিয়ে হয়। ইংরেজ আমলের প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ছিলেন পারুল, ভাল বাঁশি ও সেতার বাজাতে পারতেন।

বিয়ের আগে পারুলদেবীকে দেখতে গেলেন গিয়েছিলেন জ্যোতিরিন্দ্র। সঙ্গে নিয়ে গেলেন বন্ধু গণেশ দত্তকে। গণেশবাবুর গায়ের রং ছিল মিশমিশে কালো। বিয়ের পরে তিনি পারুলদেবীকে বলেছিলেন— ও পাশে থাকলে আমায় একটু দেখতে ভাল লাগবে, তাই নিয়ে গিয়েছিলাম গণেশকে।

বিয়ের পরে নবদম্পতি বসবাস শুরু করল কলেজ স্ট্রিটের একটি বাড়িতে। সেখান থেকে প্রথমে রূপবাণী সিনেমার কাছে রামচাঁদ লেনের বাড়ি, তার পর বেলেঘাটার বারোয়ারিতলা লেনের ‘এগারো ঘর বাসিন্দা’-র বাড়িতে বসবাস করেন তাঁরা। বেলেঘাটার বস্তি, বাগমারি রোডের ভাড়াবাড়ি, তিলজলার সরকারি ফ্ল্যাট— মোট সাত বার বাড়ি পাল্টান জ্যোতিরিন্দ্র। তবে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত ছিলেন তিলজলা হাউজিং-এই।

কলকাতায় আসার পর প্রথম চাকরি বেঙ্গল ইমিউনিটিতে। তার পর টাটা এয়ারক্রাফ্ট, জে ওয়ালটার থমসন-এর পাশাপাশি কাজ করেছেন ‘যুগান্তর’ সংবাদপত্রের সাব-এডিটর হিসেবে। কাজ করেছেন মৌলানা আজাদ খান সম্পাদিত ‘দৈনিক আজাদ’ পত্রিকায়। ইন্ডিয়ান জুটমিলস অ্যাসোসিয়েশনের ইংরেজি ও বাংলা ভাষার মুখপত্র ‘মজদুর’ সম্পাদনাও করেছেন ও পরে জনসেবক পত্রিকাতেও।

সীমিত আর্থিক ক্ষমতার ভিতরেই কন্যা স্মিতাকে হোলি চাইল্ড ও দুই পুত্র দীপঙ্কর ও তীর্থঙ্করকে টাকি গভর্নমেন্ট স্পনসর্ড মাল্টিপার্পাস স্কুলে পড়িয়েছেন লেখক।

বেশ কিছু দিন গ্যাস্ট্রিক আলসারে ভুগে, শারীরিক অবনতির জন্য হ্যারিংটন নার্সিংহোমে ভর্তি হন জ্যোতিরিন্দ্র। সরল, আত্মাভিমানী, অন্য ধারার এই লেখক প্রয়াত হন ১৯৮২ সালের ১ অগস্ট।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় থাকাকালীন, ছোটবেলায় ঠাকুর্দার সঙ্গে সূর্য ওঠার আগে বেড়াতে বেরতো জ্যোতিরিন্দ্র। এক দিন এক সাহেবের বাংলোর বাগানে দু’টি সদ্য ফোটা গোলাপ তার নজরে পড়ে। পাপড়ির গায়ে হাল্কা শিশিরে ভোরের আলোর ছটা। ঝকমক করছিল ফুল দু’টি। বাতাসের আলতো পরশে সামান্য কাঁপছিলও। একটা সোনালি নীল প্রজাপতি একটা না-ফোটা কলির বোঁটায় চুপ করে বসে— প্রকৃতির সেই রূপ দেখে আর চোখের পলক পড়েনি ছোট্ট ছেলেটির। ভাল লাগা কাকে বলে, ভাল দৃশ্য কী— সেই কচি বয়সেই টের পেয়েছিল সে!

ছোটবেলার কবিতা লেখা কলেজ জীবনে সাহিত্যচর্চায় রূপান্তরিত হয়। স্বদেশি আন্দোলনে যুক্ত থাকার অভিযোগে ১৯৩১ সালে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। এক বছর গৃহবন্দি থাকাকালীন তার সাহিত্যচর্চার উপরেও জারি হয় নিষেধাজ্ঞা জারি। এই সময়ে জ্যোৎস্না রায় ছদ্মনামে ‘সোনার বাংলা’ ও ‘বাংলার বাণী’ পত্রিকায় তাঁর লেখা কয়েকটি গল্প প্রকাশিত হয়। ১৯৩৬ সালে সেই নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর ‘দেশ’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয় তাঁর লেখা ‘রাইচরণের বাবরি’।

কবি সঞ্জয় ভট্টাচার্য সম্পাদিত কলেজ ম্যাগাজিনে জ্যোতিরিন্দ্রের লেখা ‘অন্তরালে’ গল্পটি প্রকাশিত হওয়ার পর বাংলার অধ্যাপক সুধীর সেন তা পড়ে মুগ্ধ হলেন। পরে প্রেমেন্দ্র মিত্রের নজরে আসে জ্যোতিরিন্দ্রর লেখা। তাঁর সম্পাদিত নবশক্তি, সাপ্তাহিক সংবাদে গল্প প্রকাশের সুযোগ করে দেন প্রেমেন্দ্র মিত্র। তাঁর লেখা ছোট গল্প ‘ভাত’ ও ‘গাছ’ (ইংরেজিতে), ‘ট্যাক্সিওয়ালা’ ও ‘নীল পেয়ালা’ (জার্মান ভাষায়), ‘সিঁদেল’ (ফরাসিতে), ‘একঝাঁক দেবশিশু’ ও ‘নীলফুল’ (হিন্দিতে) এবং ‘বলদ’ (মরাঠি ভাষায়) অনূদিত হয়। 

১৯৩৭ সালে পাকাপাকি ভাবে কলকাতায় চলে আসেন জ্যোতিরিন্দ্র। ছোটগল্পকার হিসেবে নজর কাড়ার পর ১৯৪৮-এ ‘দেশ’ পত্রিকায় লিখতে শুরু করেন ধারাবাহিক উপন্যাস ‘সূর্যমুখী’।

কলেজ স্ট্রিটের বাড়িতে থাকাকালীন তাঁর রচিত উল্লেখযোগ্য বই ‘শশাঙ্ক মল্লিকের নতুন বাড়ি’। ‘সূর্যমুখী’ উপন্যাসটি লেখেন রামচাঁদ লেনের বাড়িতে থাকাকালীন। বিবাহের তিন বছর পরে তিনি অতুল্য ঘোষের কাগজ ‘জনসেবক’-এ কাজ করেন প্রায় তেরো বছর। তার পর লেখায় মনোযোগ দেন।

আনন্দবাজার পত্রিকা থেকে সুরেশচন্দ্র স্মৃতি পুরস্কার ১৯৬৫ সালে। আনন্দ পুরস্কারে সম্মানিত হন ১৯৬৬ সালে।

নির্জনতা জ্যোতিরিন্দ্র নন্দীর বরাবরই প্রিয় ছিল, আবাল্য নিঃসঙ্গ এই শিল্পী অন্তর্মগ্নতায় আবিষ্ট হয়ে দিনরাত্রি চুপ করে বসে-বসে ভাবতে ভালোবাসতেন। শখ ও শৌখিনতা বলতে তার প্রায় কিছুই ছিল না। পঞ্চাশ বছর ধরে লিখেছেন কিন্তু কোনো গোষ্ঠীতে তিনি কখনও সংযুক্ত হন নি। তার গ্রন্থের সংখ্যা সত্তরের ওপর কিন্তু চলচ্চিত্রায়িত হয়েছে মাত্র একখানি। তাঁর সৃষ্টিকর্ম বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণার যোগ্য বলে বিবেচিত হয়েছে অথচ আজ পর্যন্ত কোনো বাণিজ্যিক মঞ্চে স্থান পায়নি তাঁর কোন উপন্যাস বা গল্প। কলকাতার সব কয়টি প্রতিষ্ঠিত পত্রপত্রিকায় প্রায় অর্ধশতাব্দী ধরে লিখলেও এখনও পর্যন্ত মাত্র একবারের বেশি পুরস্কৃত হন নি। তাঁর সাহিত্যের অবয়বে আদ্যন্ত জড়ানো রয়েছে প্রকৃতির আবরণ আর সেই প্রকৃতিকে পটভূমিতে রেখে নর-নারীর পারস্পরিক সম্পর্কের মূল্যায়ন করেছেন তিনি বারবার। 

জ্যোতিরিন্দ্র প্রকৃতিকে প্রথম জীবনে ছবিতে ধরতে চেয়েছিলেন কিন্তু সময়ের হাত ধরে যতই তিনি লেখক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে থাকলেন ততই ধীরে ধীরে তিনি রঙ-তুলির জগৎ থেকে সরে গেলেন। কৈশোরে বাবার কাছে চমৎকার আবৃত্তি শিখেছিলেন ইংরেজি বাংলা ও সংস্কৃত ভাষায়, কিন্তু পরবর্তীকালে আবৃত্তিচর্চা তার মনোহরণ করেনি। এমন কি, বিদ্যালয়ের বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রায় তিন শো ছেলের অভিভাবকদের বিরাট সমাবেশে আবৃত্তি প্রতিযোগিতায় প্রথম পুরস্কার লাভ করলেও কবিতা তার শিল্পীমনে কোনো গাঢ় বা গুঢ় ছাপ রাখে না। কবিতা পড়তে পড়তেই কবিতার রসাস্বাদনের সূত্রপাত ঘটল, কাব্যচর্চাও শুরু হল, তাঁর কবিতা পরিচিত মহলে তাকে কবি-হিসেবে কিঞ্চিৎ স্বীকৃতিও দিল এবং জনৈক স্কুল-শিক্ষকের সস্নেহ পৃষ্ঠপোষণাও তার ভাগ্যে জুটেছিল। সেই শিক্ষক স্নেহার্থী ছাত্রকে অনেক কবিতা লিখতে দেখেছেন কিন্তু তার অনুপ্রেরণা জ্যোতিরিন্দ্রকে কবিতা থেকে ছুটি নিতে আটকাতে পারেনি। এই তার পুরস্কার’ উপন্যাসে কবি ও কবিতার সপক্ষে সন্ধিহীন যুদ্ধ ঘোষণা সত্বেও, স্ব-রচিত ভাষার শরীরে কবিতার স্নিগ্ধ সুষমা মাখিয়েও অদ্যাবধি প্রকাশিত তাঁর পুস্তকাবলীর তালিকায় সংযুক্ত হয়নি কোনো কাব্যগ্রন্থের নাম।

যখন তিনি মাত্র আঠারো বছরের তরুণ, তখন কুমিল্লায় যুব সম্মিলনে উপস্থিত হয়েছিলেন নেতাজী সুভাষচন্দ্র। সঙ্গে ছিলেন শরৎচন্দ্র। ওই অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে হাতে-লেখা পত্রিকা বের করলেন সঞ্জয় ভট্টাচার্য, জ্যোতিরিন্দ্রর সাহিত্যজীবনের অন্যতম সুরকার। ওই হাতে-লেখা পত্রিকায় জ্যোতিরিন্দ্রের যে-গল্পটি প্রকাশিত হয়, তার পাশে শরৎচন্দ্র স্বহস্তে প্রশস্তিসূচক মন্তব্য লিখে দেন। ভিক্টোরিয়া কলেজের বাংলার অধ্যাপক সুধীর সেনের সস্নেহ আনুকূল্যে গল্পটি নারায়ণ চৌধুরী সম্পাদিত “কলেজ ক্রনিকল’-এ ছাপা হয়। গল্পটির নাম অন্তরালে। 

সক্রিয়ভাবে তখন লেখার ব্যাপারে উৎসাহিত হতে চান নি জ্যোতিরিন্দ্র । ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও কুমিল্লার তদানীন্তন বিখ্যাত নেতা ললিত বর্মণের নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত কল্যাণ সঙ্ঘের হাতে-লেখা মুখপত্রের পরিচালনা করেছেন, প্রচুর বই পড়েছেন এবং নাট্যাভিনয়ে নিজেকে সংযুক্ত করেছেন। প্রথম যৌবনে তার যাবতীয় সামাজিক সংযোগ সম্ভবত তাকে রাজনীতির দিকে ঠেলে দেয় এবং সন্ত্রাসবাদী আন্দোলনের তপ্ত হাওয়ায় উত্তপ্ত এই যুবকটিকে পুলিশী নির্যাতন সহ্য করে ছমাস কুমিল্লা জেলে বন্দী থাকতে হয়। অতঃপর আরো এক বছর স্ব-গৃহে তাকে অন্তরীণ থাকতে হল এবং এই সময় তিনি স্নাতক হলেন। জীবনের ওই রাজনৈতিক পর্বে তার অন্তর্গত রক্তের ভিতরে বাসা বেঁধেছিল ভাবী লেখক জীবনের গূঢ়-গোপন স্বপ্ন। গোপনে সরকারী নির্দেশ উপেক্ষা করে লেখার চর্চা শুরু করলেন 'জ্যোৎস্না রায়’ ছদ্মনামের আড়ালে। প্রকৃতিপ্রেমিক এই শিল্পীর উপযুক্ত ছদ্মনামে তিনি 'সোনার বাংলা’ ও ‘বাংলার বাণী’তে অনেক গল্প লিখলেন। 


কৃতজ্ঞতা - আনন্দবাজার।.

নীচে তার রচনার ওপর ক্লিক করলে নির্দিষ্ট বইটি পেতে পারেন।

অ - ঔ ক - ন প - ম, শ স, ষ, র, ল, য, হ, ক্ষ

















































































































একটি আবেদন - 
কেউ যদি কোনো বই/ পত্রিকা স্ক্যান করতে / দিতে চান 
বা সূচীপত্র ও.সি.আর. করতে চান - 
তাহলে নিচের ইমেলে যোগাযোগ করবেন 

babuipakhi819@gmail.com 

No comments:

Post a Comment