বিশেষ ঘোষণা

বিশেষ ঘোষণাঃ কারিগরি কারণ বশতঃ বেশ কিছু বইয়ের লিঙ্ক কাজ করছে না। সেগুলো ধীরে ধীরে ঠিক করে দেওয়ার কাজ চলছে। কিছু বই অপেক্ষাকৃত ভালো করতে গিয়ে একটু সময় লাগছে। ফেসবুক গ্রুপে প্রত্যেক আপডেট জানিয়ে দেওয়া হবে। মাঝে মাঝে নতুন বই দেবার ও চেষ্ট চলছে ।

রেবন্ত গোস্বামী

  বাংলা ভাষার সমস্ত লেখক - এক জায়গায় ক্রমানুসারে


রেবন্ত গোস্বামী

জন্ম -   ১৯৩৬, জুলাই ৩১                                                                                        মৃত্যু -  
কুষ্ঠিয়া, বাংলাদেশ



অবিভক্ত নদীয়া জেলার, বর্তমানে বাংলাদেশের কুষ্ঠিয়া জেলার আমলাসদরপুর গ্রামে ১৯৩৬ সালের ৩১শে জুলাই রেবন্ত গোস্বামীর জন্ম। শিক্ষা প্রাথমিক গ্রামে হলেও, পরবর্তীতে কৃষ্ণনগর ও কলকাতাতে। বিজ্ঞানে স্নাতক রেবন্ত বাবু প্রথমে ভারত সরকারের ওভারসিজ কমিউনিকেশন সার্ভিস এবং পরে দীর্ঘ সময় তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের বিদেশ সঞ্চার নিগমে উচ্চপদে কর্মরত থেকেও তিনি নিরলস নানা সাহিত্য রচনা করে গেছেন।

গত শতাব্দীর '৬০এর দশকের শেষ থেকে শিশু ও কিশোরদের বিভিন্ন জনপ্রিয় বাংলা পত্রিকাতে তাঁর লেখা নিয়মিতভাবে প্রকাশিত হলেও কিছুটা প্রচারবিমুখ এই সাহিত্যিক বাজার চলতি অন্যান্য সাহিত্যিকদের মতো জনপ্রিয়তার আলোকবৃত্তের মধ্যে বিচরণ করেন নি। যে সমস্ত পাঠক পাঠিকারা দীর্ঘদিন ধরে 'সন্দেশ' পত্রিকার পাতায় চোখ রেখে এসেছেন তাদের কাছে রেবন্ত গোস্বামী একটি বিশেষ পরিচিত নাম।

তাঁর লেখা প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল 'সন্দেশ' পত্রিকার পাতায়। ১৩৭৬ সালের (ইং ১৯৬৯)। 'সন্দেশ'এর বৈশাখ - অগ্রহায়ণ সংখ্যায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয় তাঁর প্রথম উপন্যাস 'অরুমিতুদের কথা'।
এরপরে 'সন্দেশ' পত্রিকায় দেশভাগের পটভূমিতে রচিত তাঁর কিশোর উপন্যাস "বাবলা ফুলের গন্ধে" তাঁকে পাঠকমহলে বিশেষ খ্যাতি এনে দেয়।

ক্রমশ 'সন্দেশ'এ তাঁর নানা ধরণের লেখা প্রকাশিত হতে থাকে। উপন্যাস, গল্প, রম্যরচনা, কবিতা ছাড়াও ছদ্মনামে ভাষাতত্ত্ব (ধাঁধাঁর আঙ্গিকে শব্দজব্দ), ধাঁধা, পাঠকদের কাছে প্রতিযোগিতামূলক নানা বিষয় উপস্থাপন - তাঁর সৃষ্টির পরিধি ক্রমশ বিস্তৃত হতে থাকে।

'সন্দেশ' পত্রিকা তখন খ্যাতির মধ্যগগণে। পত্রিকাতে প্রকাশের জন্য জমা পড়া যেকোনো লেখা প্রথমে পৌঁছোতো সহ-সম্পাদক নলিনী দাশের কাছে, তারপর লীলা মজুমদারের হাতে। তাঁদের পছন্দ হলে তবেই সেই নির্বাচিত লেখার বান্ডিল যেত 'প্রধান সম্পাদক' সত্যজিৎ রায়ের হাতে। সত্যজিত রায় সেইগুলির থেকে শেষ পর্যন্ত পত্রিকায় প্রকাশের জন্য লেখাগুলিকে অন্তিম নির্বাচন করলে, তবেই সেই লেখা ছাপা হতো ‘সন্দেশ’-এ। এমনটাই ছিল ‘সন্দেশ’-এর নির্বাচনী প্রক্রিয়া।

ঠিক এই সময়েই ঐ পত্রিকাতে রেবন্ত বাবুর লেখা নিয়মিতভাবে প্রকাশিত হতো। 'সন্দেশ', 'শুকতারা', 'কিশোর ভারতী', 'রামধনু' পত্রিকা ছাড়াও তখন সেই সময়ের অন্যান্য কিছু জনপ্রিয় পত্রিকাতেও (যেগুলোর অধিকাংশই দুর্ভাগ্যজনকভাবে অধুনালুপ্ত) মজা আর বিস্ময়কর কল্পনাশক্তির মেলবন্ধনে বেশ কিছু ছড়া আর কবিতা প্রকাশিত হয়। এই পত্রিকাগুলির মধ্যে ছিল রামধনু, কিশোর বাংলা, শিশু বিচিত্রা প্রভৃতি। এছাড়াও শুকতারা ও কিশোর ভারতীতে প্রকাশিত হতে থাকে তাঁর গল্প।

এরপরই পুস্তকাকারে প্রকাশিত গ্রন্থ 'কচিপাতার রং' (১৩৮৩, ইং 1976) শিশু ও কিশোর পাঠক পাঠিকাদের কাছে বিশেষভাবে সমাদৃত হয়। এই পর্বে তাঁর লেখাগুলি ছিল মূলত মানবিক আবেদনধর্মী। তাঁর গল্পের বিষয়বস্তুর মধ্যে তুলে আনতেন শিশু ও কিশোরদের জীবন গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন মানবিক গুণাবলী।

ইতিমধ্যে বাংলা শিশু ও কিশোর সাহিত্যে 'কল্পবিজ্ঞানধর্মী' গল্প ও উপন্যাস ধীরে ধীরে একটা বিশেষ স্থান অধিকার করে নিতে শুরু করে। সন্দেশ, আনন্দমেলা, শুকতারা, কিশোর ভারতী, কিশোর জ্ঞান-বিজ্ঞান পত্রিকাগুলিতে কল্পবিজ্ঞান বা বিজ্ঞান নির্ভর লেখা নিয়মিত প্রকাশিত হওয়া শুরু হয়। এছাড়াও প্রাপ্তবয়স্ক পাঠক পাঠিকাদের জন্য পত্রিকা 'আশ্চর্য!' ও 'ফ্যান্টাস্টিক'এও কল্পবিজ্ঞানের গল্প নিয়মিত প্রকাশিত হতো।

এই প্রেক্ষাপটে রেবন্তবাবুর লেখনীর বিষয়বস্তুতেও ধীরে ধীরে ঘটে যায় একটি রূপান্তরকরণ। কল্পবিজ্ঞানের গল্প ও উপন্যাস লিখতে শুরু করেন তিনি। 'সন্দেশ' পত্রিকার বৈশাখ ১৩৯০ সংখ্যায় প্রকাশিত হল তাঁর কল্পবিজ্ঞানের গল্প 'শ্যামল পালের সমস্যা', অলংকরণ করলেন সত্যজিত রায় স্বয়ং। গল্পটির শিরোনামের (হেডপিস) অলংকরণও করেছিলেন সত্যজিত রায়। এর আগে প্রকাশিত হয়েছিল 'বৃশ্চিক গ্রাস' ও 'অণুঘ্রাণ যন্ত্র' , যে দুটি গল্পেরও অলংকরণ করেছিলেন সত্যজিত রায়। এই তিনটি গল্প তাঁকে কল্পবিজ্ঞান লেখক হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত করে দিল। এরপর থেকে অভাবনীয় কল্পনাশক্তি এবং সহজ সরল ও মনোগ্রাহী গদ্যে লেখা তাঁর একের পর এক কল্পবিজ্ঞানের জনপ্রিয় গল্পের জন্য তাঁর নাম কল্পবিজ্ঞান আন্দোলনের জনক অদ্রীশ বর্দ্ধনের সঙ্গে একই সঙ্গে উচ্চারিত হতে শুরু করে।

১৯৯৪ সালে তাঁর কল্পবিজ্ঞানের বেশ কিছু গল্প নিয়ে প্রকাশিত হয় 'বৃশ্চিক গ্রাস' সংকলনটি। এছাড়াও তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থতালিকাতে ছিল 'সাহেব বাড়ির গুপ্তধন' ও 'শঙ্খপাহাড়' গ্রন্থ দুটি। কল্পবিশ্ব পাবলিকেশন' থেকে তাঁর কল্পবিজ্ঞানের গল্পগুলিকে গ্রন্থিত করে 'কল্পবিজ্ঞান সমগ্র' প্রকাশিত হয়েছে। 
'



কৃতজ্ঞতা - অভিজিৎ ব্যানার্জি 


নীচে তার রচনার ওপর ক্লিক করলে নির্দিষ্ট বইটি পেতে পারেন।

অ - ঔক - নপ - ম, শস, ষ, র, ল, য, হ, ক্ষ














































































































একটি আবেদন - 
কেউ যদি কোনো বই/ পত্রিকা স্ক্যান করতে / দিতে চান 
বা সূচীপত্র ও.সি.আর. করতে চান - 
তাহলে নিচের ইমেলে যোগাযোগ করবেন 

babuipakhi819@gmail.com 

No comments:

Post a Comment