বিশেষ ঘোষণা

বিশেষ ঘোষণাঃ কারিগরি কারণ বশতঃ বেশ কিছু বইয়ের লিঙ্ক কাজ করছে না। সেগুলো ধীরে ধীরে ঠিক করে দেওয়ার কাজ চলছে। কিছু বই অপেক্ষাকৃত ভালো করতে গিয়ে একটু সময় লাগছে। ফেসবুক গ্রুপে প্রত্যেক আপডেট জানিয়ে দেওয়া হবে। মাঝে মাঝে নতুন বই দেবার ও চেষ্ট চলছে ।

প্রমথ নাথ বিশী

বাংলা ভাষার সমস্ত লেখক - এক জায়গায় ক্রমানুসারে

প্রমথ নাথ বিশী

জন্ম - ১১ই জুন, ১৯০১                                                                                     মৃত্যু - ১০ই মে, ১৯৮৫
রাজশাহী, বাংলাদেশ                                                                                                কলকাতা, ভারত

ছদ্মনাম ঃ প্র-না-বি, কমলাকান্ত, বিষ্ণুশর্মা, অমিত রায়, মাধব্য ও স্কট টমসন



প্রমথনাথ বিশী ছিলেন একজন সাহিত্যিক ও গবেষক। ১৯০১ সালের ১১ জুন নাটোরের জোয়াড়ি গ্রামে মিদার পরিবারে তাঁর জন্ম। তাঁর পিতা নলিনীনাথ বিশী ছিলেন বৃহত্তর রাজশাহী জেলার মধ্যে প্রথম জুয়েট এবং প্রভাবশালী জমিদার কেশবনাথ বিশীর দত্তক পুত্র। প্রমথনাথ ১৯১০ সালে শান্তিনিকেতনের ব্রহ্মবিদ্যালয়ে শিক্ষাজীবন শুরু করেন। সেখানে তিনি রবীন্দ্রনাথের ঘনিষ্ঠ সান্নিধ্য লাভ করেন। মেধা, প্রখর বুদ্ধিবৃত্তি, অধ্যয়ননিষ্ঠা, কবিপ্রতিভা ইত্যাদি গুণের জন্য রবীন্দ্রনাথ তাঁকে খুব স্নেহ করতেন। রবীন্দ্রনাথের নিকট তিনি অভিনয় শেখেন এবং পরে তাঁর লেখা কয়েকটি যাত্রাপালা শান্তিনিকেতনে অভিনীতও হয়।

প্রমথনাথ ১৯১৯ সালে শান্তিনিকেতন থেকে ম্যাট্রিক পাস করে সেখানেই শিক্ষকতা শুরু করেন এবং ১৯২৭ সালে প্রাইভেট পরীক্ষার্থী হিসেবে আইএ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। পরে তিনি রাজশাহী কলেজ থেকে ইংরেজিতে অনার্স (১৯২৯) এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে বাংলায় এমএ (১৯৩২) ডিগ্রি লাভ করেন। রামতনু লাহিড়ী গবেষণা বৃত্তি (১৯৩৩-৩৬) নিয়ে গবেষণা করার পর ১৯৩৬ সালে তিনি রিপন কলেজে অধ্যাপক পদে যোগদান করেন। দীর্ঘকাল রিপন কলেজে অধ্যাপনা করার পর ১৯৫০ সালে প্রমথনাথ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগে যোগদান করেন এবং রবীন্দ্র অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান হয়ে ১৯৭১ সালে অবসর গ্রহণ করেন। মাঝখানে চার বছর (১৯৪৬-৫০) তিনি আনন্দবাজার পত্রিকার সহকারী সম্পাদক ছিলেন।

প্রমথনাথ কংগ্রেসের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থেকে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা (১৯৬২) এবং রাজ্যসভার সদস্য (১৯৭২) নির্বাচিত হন। একজন সৃজনশীল লেখক ও মননশীল গবেষক হিসেবে প্রমথনাথ বিশীর সমান খ্যাতি আছে। গবেষণার ক্ষেত্রে প্রধানত রবীন্দ্র বিশেষজ্ঞ হিসেবে তিনি পরিচিতি লাভ করেন। এক্ষেত্রে রবীন্দ্র কাব্যপ্রবাহ (২ খন্ড, ১৯৩৯), রবীন্দ্র বিচিত্রা (১৯৫৫), রবীন্দ্র নাট্যপ্রবাহ (২ খন্ড, ১৯৬২), রবীন্দ্র সরণী (১৯৬৬) প্রভৃতি গবেষণাগ্রন্থ তাঁর উল্লেখযোগ্য অবদান। তিনি মধুসূদন ও বঙ্কিম সাহিত্যেরও একজন দক্ষ সমালোচক ছিলেন।

গবেষণাগ্রন্থ ছাড়াও গল্প, উপন্যাস, নাটক, প্রবন্ধ, কবিতা এবং ব্যঙ্গ রচনার ক্ষেত্রেও প্রমথনাথ প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন। কমলাকান্ত, বিষ্ণুশর্মা, অমিত রায়, মাধব্য ও স্কট টমসন ছদ্মনামে তিনি এসব লিখতেন। তাঁর রচিত উপন্যাস ও গল্পের মধ্যে কয়েকখানি প্রধান গ্রন্থ হলো ঃ জোড়াদিঘির চৌধুরী পরিবার (১৯৩৮), কেশবতী (১৯৪১), গল্পের মতো গল্প(১৯৪৫), ডাকিনী (১৯৪৫), ব্রহ্মার হাসি (১৯৪৮), সিন্ধুদেশের প্রহরী (১৯৫৫), চলন বিল (১৯৫৭), অলৌকিক (১৯৫৭), কেরী সাহেবের মুন্সী(১৯৫৮), স্বনির্বাচিত গল্প (১৯৬০), লালকেল্লা (১৯৬৩) ইত্যাদি।

দেওয়ালী (১৯২৩) তাঁর প্রথম কবিতার গ্রন্থ। এছাড়া আছে বসন্তসেনা ও অন্যান্য কবিতা (১৯২৭), হংসমিথুন (১৯৫০), উত্তরমেঘ (১৯৫৩), শ্রেষ্ঠ কবিতা (১৯৬১) ইত্যাদি। ব্যক্তি ও ব্যক্তিত্ব (১৯৫১), বিচিত্র উপল (১৯৫১) তাঁর প্রবন্ধগ্রন্থ। কেরী সাহেবের মুন্সী ও লালকেল্লা তাঁর
দুটি শ্রেষ্ঠ উপন্যাস। প্রথমটিতে ব্রিটিশ যুগের এবং দ্বিতীয়টিতে মুগল যুগের পটভূমিতে ব্যক্তি, সমাজ ও ইতিহাসের বিচিত্র বর্ণনা আছে। মানবচরিত্রের সূক্ষ্ম অনুভূতিসমূহ সরস ভাষায় অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে তিনি বর্ণনা করেছেন। নেহেরু: ব্যক্তি ও ব্যক্তিত্ব নামে তিনি একটি রাজনৈতিক গ্রন্থও রচনা করেন। সাহিত্যচর্চা এবং গবেষণায় কৃতিত্বের জন্য প্রমথনাথ রবীন্দ্র পুরস্কার (১৯৬০), বিদ্যাসাগর স্মৃতি পুরস্কার (১৯৮২) ও জগত্তারিণী পুরস্কার (১৯৮৩) লাভ করেন।

১৯৮৫ সালের ১০ মে কলকাতায় তাঁর মৃত্যু হয়।


কৃতজ্ঞতা - গজেনদার আড্ডা.

নীচে তার রচনার ওপর ক্লিক করলে নির্দিষ্ট বইটি পেতে পারেন।

অ - ঔ ক - ন প - ম, শ স, ষ, র, ল, য, হ, ক্ষ

















































































































একটি আবেদন - 
কেউ যদি কোনো বই/ পত্রিকা স্ক্যান করতে / দিতে চান 
বা সূচীপত্র ও.সি.আর. করতে চান - 
তাহলে নিচের ইমেলে যোগাযোগ করবেন 

babuipakhi819@gmail.com 

No comments:

Post a Comment