বাংলা ভাষার সমস্ত লেখক - এক জায়গায় ক্রমানুসারে
অতুল সুর
জন্ম ঃ ৫ই আগস্ট, ১৯০৪ মৃত্যু ঃ ২রা জানুয়ারী, ১৯৯৯
অতুল সুর
জন্ম ঃ ৫ই আগস্ট, ১৯০৪ মৃত্যু ঃ ২রা জানুয়ারী, ১৯৯৯
প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ, নৃতাত্ত্বিক, ঐতিহাসিক এবং প্রাবন্ধিক অতুল সুর (জন্মঃ- ৫ আগস্ট, ১৯০৪ – মৃত্যুঃ- ২ জানুয়ারী,১৯৯৯) বাঙ্গালি পাঠকের আছে এক অতি পরিচিত নাম। তাঁর বিখ্যাত রচনা গুলির মধ্যে আছে আঠারো শতকের বাঙলা ও বাঙালী (১৯৫৭), চোদ্দ শতকের বাঙালী (১৯৯৪), দেবলোকের যৌনজীবন (১৯৮৩), প্রমীলা প্রসঙ্গ (১৯৩৯), বাঙলা ও বাঙালী (১৯৫০), বাঙলা ও বাঙালীর বিবর্তন, বাঙালীর নৃতাত্ত্বিক পরিচয় (১৯৭৭), ভারতের বিবাহের ইতিহাস (১৯৬০), ভারতের নৃতাত্ত্বিক পরিচয় (১৯৮৮), সিন্ধু সভ্যতার স্বরূপ ও সমস্যা (১৯৫০)।
তিনি প্রায় দেড় শতাধিক গ্রন্থ লেখেন। তাঁর রচিত প্রবন্ধের সংখ্যা দশ হাজারেরও বেশি। ১৯২৮ সালে নৃতত্ত্ব নিয়ে এম.এ. করে প্রথম শ্রেণীতে প্রথম স্থান দখল করেন এবং স্বর্ণপদক পান। কর্মজীবনে তিনি কখনো অধ্যাপক, কখনো সাংবাদিক, কখনো আবার স্টক এক্সচেঞ্জের উপদেষ্টা হয়ে কাজ করেন। তিনি মহেঞ্জোদাড়োয় প্রত্নতত্ত্বের কাজেও যুক্ত ছিলেন। বাংলা সাহিত্যে তিনি একাধিক গবেষণাধর্মী প্রবন্ধ লিখে জনপ্রিয়তা লাভ করেন। সমাজ, অর্থনীতি, পুরাতত্ত্ব প্রভৃতি বিষয় অবলম্বনে তিনি বাংলা ও ইংরেজি দুই ভাষাতেই অসংখ্য মনোজ্ঞ প্রবন্ধ রচনা করেন। 'ভারতে মূলধনের বাজার', 'ভারতের বিবাহের ইতিহাস', 'বাঙালীর নৃতাত্ত্বিক পরিচয়', 'বাংলা ও বাঙালি', 'বাংলার সামাজিক ইতিহাস' প্রভৃতি তাঁর রচিত জনপ্রিয় প্রবন্ধসমূহ।
১৯৭৬ সালে প্রকাশিত 'বাংলার সামাজিক ইতিহাস' গ্রন্থে বাংলার জীবনযাত্রা, ধর্ম, রুচি প্রভৃতি বিষয় নিয়ে তিনি সুচিন্তিত প্রবন্ধ লেখেন। 'বাংলার ভূতাত্ত্বিক গঠন ও ভৌগোলিক রূপরেখা' প্রবন্ধে তিনি নদীমাতৃক ভারতবর্ষের বিকাশ ও উন্নয়নের রূপরেখাটি স্পষ্টভাবে অঙ্কন করেন। তিনি লেখেন- "নদীই বাংলার ইতিহাসের স্রষ্টা। নদীই বাঙালির চরিত্র গঠন করেছে। নদীই বাংলার ভাগ্যবিধাতা।" 'মধ্যযুগের মুসলিম সমাজ' প্রবন্ধে তিনি তৎকালীন মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষের সামাজিক অবস্থান ও সম্ভাবনার কথা ব্যক্ত করেন। ১৯৭৭ সালের 'মূলধনের বাজারের স্বরূপ' প্রবন্ধে তিনি মূলধনি বাজার তথা শেয়ার মার্কেট সম্পর্কে বিস্তারিত ব্যাখ্যা করেন। প্রাবন্ধিক হিসেবে তাঁর তথ্যের প্রতি নিষ্ঠা, যুক্তির প্রতি আস্থা এবং উদাহরণ চয়নের মুন্সিয়ানা সকলকেই মুগ্ধ করে। তাই তাঁর লেখাগুলি শুধুই তথ্যের ইতিহাস হয়ে যায়নি, তাঁর মধ্যে এসেছে মননশীলতার ছোঁয়া, ভাষাশৈলীর নান্দনিক দিক।
কৃতজ্ঞতা - প্রতাপ চন্দ্র সাহা।
নীচে তার রচনার ওপর ক্লিক করলে নির্দিষ্ট বইটি পেতে পারেন।
অ - ঔ | ক - ন | প - ম, শ | স, ষ, র, ল, য, হ, ক্ষ |
---|---|---|---|
একটি আবেদন -
কেউ যদি কোনো বই/ পত্রিকা স্ক্যান করতে / দিতে চান
বা সূচীপত্র ও.সি.আর. করতে চান -
তাহলে নিচের ইমেলে যোগাযোগ করবেন
কেউ যদি কোনো বই/ পত্রিকা স্ক্যান করতে / দিতে চান
বা সূচীপত্র ও.সি.আর. করতে চান -
তাহলে নিচের ইমেলে যোগাযোগ করবেন
babuipakhi819@gmail.com
No comments:
Post a Comment