বাংলা ভাষার সমস্ত লেখক - এক জায়গায় ক্রমানুসারে
শঙ্কু মহারাজ
জন্ম - ৭ই মার্চ, ১৯৩১ মৃত্যু - ১৮ই অক্টোবর, ২০০৪
শঙ্কু মহারাজ
জন্ম - ৭ই মার্চ, ১৯৩১ মৃত্যু - ১৮ই অক্টোবর, ২০০৪
বরিশাল, বাংলাদেশ
আমি পথিক - সকল কালের, সকল দেশের, সকল যুগের পথিক।
আমি তাই এগিয়ে চলি - যুগ থেকে যুগান্তরে, দেশ থেকে দেশান্তরে, জীবন থেকে মহাজীবনের পথে।
জন্ম ৭ই মার্চ ১৯৩১। বরিশালে। প্রকৃত নাম জ্যোতির্ময় ঘোষ দস্তিদার । বাবা হরিপদ ঘোষ দস্তিদার। বাল্য শিক্ষা ব্রজমোহন স্কুল এবং কলেজে, দেশভাগের পর কলকাতার বঙ্গবাসী কলেজ থেকে স্নাতক। প্রথম জীবনে চাকরি করেছেন সওদাগিরি অফিসে তারপর ১৯৬০ থেকে ১৯৮৮ পর্যন্ত সরকারি অফিসে।
বাংলা ভ্রমণ সাহিত্যে তাঁর দান অসামান্য। তাঁর প্রথম ভ্রমণবৃ্ত্তান্ত ‘বিগলিত করুনা জাহ্নবী যমুনা’। ভ্রমণ নিয়েই তাঁর সব লেখালিখি, যেমন- ‘হিমালয় (৫খন্ড), ‘পঞ্চপ্রয়াগ’, ‘অমরাবতী আসাম’, ‘অমরতীর্থ অমরনাথ’, 'গঙ্গা যমুনার দেশে', 'মায়াময় মেঘালয়', ‘তমসার তীরে তীরে’ ইত্যাদি।
আসলে শঙ্কু মহারাজ হলেন দু'জন মানুষ, শঙ্কু একজন আর মহারাজ একজন..তাঁরা দু'জন মিলেই একত্রে বইগুলি লেখেন। দুজনেই একসঙ্গে ভ্রমণ করেছেন-মামাতো পিসতুতো ভাই। লেখক হলেন জ্যোতির্ময় ঘোষ দস্তিদার, ডাক নাম শঙ্কু, আর একজন হলেন কমলকুমার গুহ। তাঁর ডাক নাম হল মহারাজ। 'বিগলিত করুণা জাহ্নবী যমুনা লেখাটা কিভাবে হল জিজ্ঞেস করতে তাঁরা বললেন-একজন লিখেছেন, আর একজন পড়ে চোখ বুলিয়েছেন কিছু বাদ গেল কিনা দেখতে। পরবর্তীকালে কমলবাবু আর সহ-লেখক থাকতে চান না জানালেন। পরবর্তী গ্রন্থ নীল দুর্গম ছাড়া আর সব বইই হয়েছে শঙ্কুবাবুর একক প্রচেষ্টা।
তাহলে সত্যি বলতে গেলে, শঙ্কু মহারাজ দুটিই মাত্র বই লিখেছেন, বাকি সব বইগুলি শঙ্কু মহারাজের লেখা নয়, লেখা জ্যোতির্ময় ঘোষ দস্তিদারের, অর্থাৎ শুধু মাত্র শঙ্কুবাবুর।
১৮ই অক্টোবর ২০০৪ তাঁর জীবনাবসান হয়।
No comments:
Post a Comment