বাংলা ভাষার সমস্ত লেখক - এক জায়গায় ক্রমানুসারে
নলিনী দাস
জন্ম - ৫ই আগস্ট, ১৯১৬ মৃত্যু - , ১৯৯৩
প.বঙ্গ, ভারত
নলিনী দাস
জন্ম - ৫ই আগস্ট, ১৯১৬ মৃত্যু - , ১৯৯৩
প.বঙ্গ, ভারত
সৃষ্ট চরিত্র ঃ গোয়েন্দা গন্ডালু (কালু, মালু, বুলু, টুলু)
১৯১৬ খ্রিস্টাব্দের ৫ আগস্ট তাঁর জন্ম হয় নলিনী দাশের। তাঁর পিতা অরুণনাথ চক্রবর্তী এবং মা বাংলা শিশুসাহিত্যের অন্যতম জনক উপেন্দ্র কিশোর রায়চৌধুরীর কন্যা পুণ্যলতা রায় চৌধুরী। কবি জীবনানন্দ দাশের কনিষ্ঠ ভ্রাতা অশোকানন্দ দাশের সঙ্গে ১৯৪৩ খ্রিস্টাব্দে তিনি পরিণয় সূত্রে আবদ্ধ হন। তাঁর মাতৃকূলের শিশু সাহিত্যে এক কিংবদন্তীসম ভূমিকা। বড়মাসি সুখলতা রাও, বড়মামা সুকুমার রায়, মা পুণ্যলতাও লেখালেখি করেছেন, মামাতো ভাই সত্যজিৎ রায়।
নলিনী দাশ ১৯৩২ খ্রিস্টাব্দে ব্রাহ্ম বালিকা শিক্ষালয় থেকে ম্যাট্রিকুলেশন পাস করেন। পরবর্তীতে ডায়োপেশন কলেজ থেকে ১৯৩৪ সালে আই.এ., স্কটিশচার্চ কলেজ থেকে দর্শনে অনার্স সহ বি.এ. পরীক্ষায় ১ম স্থান অধিকার করে ২টি রৌপ্যপদক, ৮টি স্বর্ণ পদক প্রাপ্তা, জুবিলি স্কলারশিপ ও ঈশান স্কলারশিপ প্রাপ্তা দর্শনশাস্ত্রে ১৯৩৮ সালে ১ম শ্রেণীতে এম.এ. উত্তীর্ণ হন।
কয়েকমাস ভিক্টোরিয়া ইন্সটিটিউসনের শিক্ষিকতা করে নলিনী দাশ পরে বেথুন কলেজের অধ্যাপিকা হিসেবে কাজ করেন। সরকারী বৃত্তি লাভ করে ১৯৪৫-১৯৪৬ সাল পর্যন্ত ইংল্যান্ডে ফ্রোবের ট্রেনিং প্রাপ্ত হন তিনি। পোষ্ট গ্রাজুয়েট্ বেসিক ট্রেনিং কলেজ ১৯৪৯ সালে ও ডেভিড্ হেয়ার ট্রেনিং কলেজের ১৯৫১ সালে সহাধ্যক্ষা, ইন্সটিটিউট্ অফ্ এডুকেশন র্ফউইমেন ১৯৫৪-১৯৬৮ সাল পর্যন্ত অধ্যক্ষা এবং বেথুন কলেজের ১৯৬৮-১৯৭৪ সাল পর্যন্ত অধ্যক্ষা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন নলিনী দাশ। পরে ১৯৭৪ সালে অবসর গ্রহণ করেন।
বিশিষ্ট শিক্ষাব্রতী হিসাবে রাজ্য পুরস্কার "বিদ্যাসাগর স্মৃতি পুরষ্কার" প্রাপ্তা (৫/৯/১৯৭৫)। ‘রাজা রামমোহন রায়’ সম্পর্কে লীলা বক্তিতাদান (১৯৭৪)। কলিকাতা ও পরে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কাউন্সিলের সভ্যা, হায়ার এডুকেশন কমিশন, কলেজ সার্ভিস কমিশন ইত্যাদির সঙ্গে যুক্তা। সমাজকল্যাণ ও শিশুকল্যানমূলক বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে যুক্তা। ১৯৬৪ থেকে সন্দেশ পত্রিকার সঙ্গে যুক্তা। যুগ্ম সম্পাদিকাঃ সন্দেশ (লীলা মজুমদার ও সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গে), শ্রাবণী (কল্যাণী কার্লেকারের সঙ্গে), টিচার্স কোয়াটার্লি (কল্যাণী কার্লেকারের সঙ্গে), মেয়েদের কথা।
প্রকাশিত গ্রন্থঃ রা-কা-যে-টে-না-পা (রামকানাই যেন টের না পায়), হাস্য ও রহস্যের গল্প , বঙ্গম গড়ের রহস্য, মধ্যরাতের ঘোড় সওয়ার, মরু প্রাসাদের রহস্য, হাতিঘিসার হানাবাড়ি, গোয়েন্দা গণ্ডালু, সাত রাজার ধন এক মাণিক।
নলিনী দাশ তাঁর বোন কল্যানী দাশ ও দুই খুড়তুতো বোনের সাথে একই বাড়িতে বড় হয়েছেন। তিনি বেশকিছুকাল হোস্টেলে থেকেছেন এবং বিভিন্ন জায়গা ভ্রমণ করেছেন। ইংলন্ডে থাকা কালিন বিভিন্ন রহস্য গল্পের পোকা ছিলেন। এর পুরো প্রভাব তাঁর সৃষ্ট গোয়েন্দা গন্ডালুর বিভিন্ন গল্পে পড়েছে।
No comments:
Post a Comment