বাংলা ভাষার সমস্ত লেখক - এক জায়গায় ক্রমানুসারে
আশাপূর্ণা দেবী
জন্ম - ৪ঠা জানুয়ারী, ১৯০৯ মৃত্যু - ১৩ই জুলাই, ১৯৯৫
কলকাতা, ভারত কলকাতা, ভারত
আশাপূর্ণা দেবী
জন্ম - ৪ঠা জানুয়ারী, ১৯০৯ মৃত্যু - ১৩ই জুলাই, ১৯৯৫
কলকাতা, ভারত কলকাতা, ভারত
"মোদের গরব, মোদের আশা, আ-মরি বাংলা ভাষা !
তোমার কোলে, তোমার বোলে, কতই শান্তি-ভালোবাসা ।
বাজিয়ে রবি তোমার বীণে, আনল মালা জগৎ জিনে !
তোমার চরণ-তীর্থে আজি জগৎ করে যাওয়া-আসা ।
ওই ভাষাতেই প্রথম বোলে, ডাকনু মায়ে 'মা, মা' বলে;
ওই ভাষাতেই বলব হরি, সাঙ্গ হলে কাঁদা-হাসা !"
নীচে তার রচনার ওপর ক্লিক করলে নির্দিষ্ট বইটি পেতে পারেন।
তোমার কোলে, তোমার বোলে, কতই শান্তি-ভালোবাসা ।
বাজিয়ে রবি তোমার বীণে, আনল মালা জগৎ জিনে !
তোমার চরণ-তীর্থে আজি জগৎ করে যাওয়া-আসা ।
ওই ভাষাতেই প্রথম বোলে, ডাকনু মায়ে 'মা, মা' বলে;
ওই ভাষাতেই বলব হরি, সাঙ্গ হলে কাঁদা-হাসা !"
বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ ট্রিলজির রচিয়তা এবং বিংশ শতকের অন্যতম সেরা লেখিকা আশাপূর্ণা দেবী ছিলেন ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার ও শিশু সাহিত্যিক । ''ট্রিলজি'' শব্দটির অর্থ হল তিনটি সাহিত্যের একত্রে সংযুক্তীকরন । আশাপূর্ণা দেবী বাংলা ভাষা ছাড়া অন্য কোন ভাষা জানতেন না, তার চেয়ে বলা ভালো তিনি বাংলা ব্যতীত অন্য কোন ভাষা শেখার চেষ্টাই করেন নি । বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের প্রতি এই মহান লেখিকার কতখানি টান ও ভালোবাসা ছিল তার মূল্যায়ন করার জন্যই আমি অতুল প্রসাদ সেনের "বঙ্গভাষা" নামক কবিতার কয়েকটি লাইন উপরে উদ্ধৃত করেছি । এই মহান লেখিকা 1995 সালের ১৩ই জুলাই কলকাতা শহরের উপকন্ঠে অবস্থিত গড়িয়া অঞ্চলে কানুনগো পার্কের বাসভবনে প্রয়াত হন । আশাপূর্ণা দেবী 1909 সালে জানুয়ারি মাসের 8 তারিখে বর্তমান ভারতবর্ষের কলকাতা শহরের অন্তর্গত পটলডাঙ্গা অঞ্চলে মাতুলালয়ে এক রক্ষনশীল পরিবারে ভূমিষ্ঠ হন । আশাপূর্ণা দেবীর পিতার নাম ছিল হরেন্দ্রনাথ গুপ্ত, ইনি পেশায় ছিলেন একজন চিত্রকর এবং মাতার নাম ছিল সরলাসুন্দরী দেবী , ইনি ছিলেন একনিষ্ঠ সাহিত্য-পাঠিকা । হরেন্দ্রনাথ গুপ্তের তিন মেয়ে মধ্যে আশাপূর্ণা দেবী ছিলেন মেজো, বড়ো মেয়ের নাম হল রত্নমালা দেবী এবং ছোট মেয়ের নাম হল সম্পূর্ণা দেবী । আশাপূর্ণা দেবীর পৈতৃক নিবাস ছিল হুগলি জেলার বেগমপুরে কিন্তু বাস্তবে এই অঞ্চলের সাথে আশাপূর্ণা দেবীর কোন প্রত্যক্ষ যোগাযোগ ছিল না । এই মহান লেখিকার শৈশব কেটেছে ঠাকুমা নিস্তারিনী দেবীর পাঁচ পুত্রের একান্নবর্তী পরিবারে । পরবর্তী সময়ে আশাপূর্ণা দেবীর পিতা হরেন্দ্রনাথ যখন আপার সার্কুলার রোডে (বর্তমানে আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায় রোড) নিজের বাসভবনে উঠে আসেন তখন আশাপূর্ণা দেবীর বয়স ছিল মাত্র পাঁচ বছর । কিন্তু ঠাকুমার নিকটে থাকাকালীন শৈশবের কয়েকটি বছর এই বিখ্যাত লেখিকার জীবনে চিহ্ন রেখে যায় । আশাপূর্ণা দেবীর মাতা সরলাসুন্দরী সাহিত্য-পাঠিকা ছিলেন বলে বাংলা সাহিত্যপ্রীতি তার তিন কন্যা-সন্তানের মধ্যে সঞ্চারিত করতে খুবই চেষ্টা করেছিলেন । এই বিখ্যাত লেখিকার পরিবার রক্ষনশীল ছিল বলে তার কখনও স্কুল-কলেজের শিক্ষা লাভের সৌভাগ্য হয় নি । প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা না থাকলেও সাহিত্যের আবহে বেড়ে উঠেছিলেন বলে তিনি মাত্র তেরো বছর বয়সে গল্প ও কবিতা রচনা করে বাংলা সাহিত্যজগতে আত্মপ্রকাশ করেন । তার রচনা প্রথম "শিশুসাথী" পত্রিকায় প্রকাশিত হয় । পনেরো বছর বয়সে এই স্বণামধন্য লেখিকার সরকারী বড়ো অফিসার কালিদাস গুপ্তের সাথে বিবাহ হয় এবং স্বামীর উৎসাহে ও অনুপ্রেরনায় তিনি সাহিত্যচর্চা করতে থাকেন । এই স্বণামধন্য লেখিকা দায়িত্ব সহকারে সংসারও করেছেন এবং অবসর সময়ে পাঠককুলকে অনবদ্য সাহিত্য উপহার দিয়েছেন ।এই প্রথিতযশা লেখিকা অন্তঃপুরে থেকেও মেয়েদের বহির্মুখী জীবন খুবই দক্ষতার সাথে নিজের সাহিত্যগুলিতে রূপায়িত করেছেন । তার রচিত সাহিত্যগুলির মূল প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল সমগ্র নারীপুরুষের চাওয়া-পাওয়া , মানসিক দ্বন্দ-সংঘাত , প্রেম-বিরহ এবং সমসাময়িক সামাজিক পটভুমি । এই খ্যাতনামা লেখিকা খুবই সহজ , স্বচ্ছ ও সাবলীল ভাষায় সাহিত্য রচনা করেছিলেন বলে তিনি পাঠকসমাজে বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেন । আশাপূর্ণা দেবী দীর্ঘ সত্তর বছরের সাহিত্যজীবনে উপন্যাস, ছোটগল্প ও শিশুসাহিত্য মিলিয়ে দুই শতাধিক গ্রন্থ রচনা করেন । তার রচিত উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলি হল - ছোট ঠাকুরদার কাশী যাত্রা, প্রেম ও প্রয়োজন, প্রথম প্রতিশ্রুতি, সুবর্ণলতা, বকুলকথা, নিলয়-নিবাস, দিব্যহাসিনীর দিনলিপি, সিড়ি ভাঙ্গা অঙ্ক, বালুচরী, দৃশ্য থেকে দৃশ্যান্তরে, এই তো সেদিন, লীলা চিরন্তন, অগ্নিপরীক্ষা, চশমা পাল্টে যায় প্রভৃতি । এই খ্যাতনামা লেখিকা "ছোট ঠাকুরদার কাশী যাত্রা" নামক গ্রন্থটি শিশুদের জন্য রচনা করেন । এই গ্রন্থটি তার প্রথম গ্রন্থ যা 1938 সালে প্রকাশিত হয় । আশাপূর্ণা দেবীর প্রাপ্তবয়স্কের জন্য রচিত প্রথম উপন্যাস "প্রেম ও প্রয়োজন" 1944 সালে প্রকাশিত হয় এবং এই উপন্যাসটি সর্বপ্রথম এই লেখিকাকে বিপুল জনপ্রিয়তা প্রদান করে ।বাংলা ভাষায় শ্রেষ্ঠ ট্রিলজি রচনা করার জন্য বঙ্গসাহিত্যের শিলালিপিতে তার নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে । এই ট্রিলজিতে আছে - প্রথম প্রতিশ্রুতি, সুবর্ণলতা ও বকুলকথা নামক তিনটি কালজয়ী উপন্যাস । "প্রথম প্রতিশ্রুতি" উপন্যাস রচনা করার জন্য 1978 সালে দেশের সর্বোচ্চ "জ্ঞানপীঠ" পুরস্কার লাভ করেন । এছাড়া এই প্রথিতযশা লেখিকার অনন্য সাহিত্যকীর্তির জন্য এই লেখিকাকে পশ্চিমবঙ্গ সরকার রাজ্যের সর্বোচ্চ "রবীন্দ্র পুরস্কার," ভারত সরকার "সাহিত্য অকাদেমী পুরস্কার" এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়গুলি "ডি-লিট" উপাধিতে ভূষিত করে ।
কৃতজ্ঞতা - Shining Subir.
নীচে তার রচনার ওপর ক্লিক করলে নির্দিষ্ট বইটি পেতে পারেন।
একটি আবেদন -
কেউ যদি কোনো বই/ পত্রিকা স্ক্যান করতে / দিতে চান
বা সূচীপত্র ও.সি.আর. করতে চান -
তাহলে নিচের ইমেলে যোগাযোগ করবেন
কেউ যদি কোনো বই/ পত্রিকা স্ক্যান করতে / দিতে চান
বা সূচীপত্র ও.সি.আর. করতে চান -
তাহলে নিচের ইমেলে যোগাযোগ করবেন
babuipakhi819@gmail.com
এ যুগের চশমা গল্পটি পড়তে চাঈ
ReplyDeleteWanted to read a yuger chasma by asapurna devi
ReplyDelete