বাংলা ভাষার সমস্ত লেখক - এক জায়গায় ক্রমানুসারে
অদ্রীশ বর্ধন
অদ্রীশ বর্ধন
জন্ম - ১লা ডিসেম্বর, ১৯৩২ মৃত্যু - ২১শে মে, ২০১৯
কলকাতা, ভারত কলকাতা, ভারত
ছদ্মনাম - আকাশ সেন।
বিখ্যাত চরিত্র ঃ গোয়েন্দা ইন্দ্রনাথ রুদ্র, প্রফেসর নাটবল্টু চক্র, ফাদার ঘনশ্যাম, নারায়নী।
বিখ্যাত চরিত্র ঃ গোয়েন্দা ইন্দ্রনাথ রুদ্র, প্রফেসর নাটবল্টু চক্র, ফাদার ঘনশ্যাম, নারায়নী।
অদ্রীশ বর্ধন (জন্ম : ১ ডিসেম্বর, ১৯৩২) প্রখ্যাত ভারতীয় বাঙালি লেখক, ঔপন্যাসিক ও অনুবাদক। জন্ম কলকাতায় এক শিক্ষক-পরিবারে। বাবা অনিল বর্ধন ছিলেন স্কুল শিক্ষক আর স্বামী বিবেকানন্দের প্রেরনায় উদবুদ্ধ ঠাকুরদা চন্ডীচরণ বর্ধন কলকাতার বউবাজারে হিন্দু বয়েজ স্কুল নামে একটি বিদ্যালয় চালাতেন। সেখানেই তিনি ছোটোবেলায় সেখানে প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন। ছোটোবেলা থেকেই তিনি মনিমালা নামক এক ব্রতচারী দলের সাথে যুক্ত ছিলেন। এখানে কাজ করেছিলেন বিমলচন্দ্র ঘোষ ওরফে মৌমাছির সাথে।
ছোটোবেলা থেকেই তাঁর অজানার প্রতি ছিল দুর্নিবার আকর্ষণ। শিবরাম চক্রবর্তীর 'বাড়ি থেকে পালিয়ে' পড়ে অ্যাডভেঞ্চারের টানে কুড়ি বয়সে পালিয়ে পৌছেছিলেন বোম্বে শহরে। জীবনে অনেক পেশার সাথে যুক্ত ছিলেন। চাকরি, ব্যবসা ও সাহিত্যসাধনা। পরে নামী একটি প্রতিষ্ঠানের পারচেজ ম্যানেজার-পদে ইস্তাফা দিয়ে পুরোপুরি চলে আসেন লেখার জগতে।
গোয়েন্দা কাহিনী দিয়ে লেখালেখির শুরু করেন। তার সৃষ্ট গোয়েন্দা ইন্দ্রনাথ রুদ্র ও মেয়ে গোয়েন্দা নারায়নী, ফাদার ঘনশ্যাম এবং বিজ্ঞানী প্রফেসর ত্রিলোকেশ্বর শঙ্কু। বাংলায় বিজ্ঞান, কল্পবিজ্ঞান, অতীন্দ্ৰিয় জগৎ অতিপ্রাকৃত, অনুবাদ ইত্যাদি লেখার ক্ষেত্রে অদ্রীশ বর্ধন অন্যতম স্বীকৃত নাম। ভারতের প্রথম কল্পবিজ্ঞান-পত্রিকা “আশ্চর্য-র ছদ্মনামী সম্পাদক। স্থাপন করেন আলফা-বিটা পাবলিকেশনস নামে একটি প্রকাশনা সংস্থা। তৈরী করেন নিজস্ব প্রেস 'দীপ্তি প্রিন্টার্স'। সত্যজিৎ রায়ের সভাপতিত্বে প্রথম "সায়ান্স ফিকশন সিনে ক্লাব”-এর প্রতিষ্ঠাতা-সম্পাদক । পত্রিকা, রেডিও, ফিল্ম ক্লাবের মাধ্যমে কল্পবিজ্ঞানকে আন্দোলন-আকারে সংগঠিত করেন । একাধিক পুরস্কার। কিশোর জ্ঞানবিজ্ঞান ও পরপর দুবছর "দক্ষিণীবাতাঁর শ্রেষ্ঠগল্প পুরস্কার। অনুবাদের ক্ষেত্রে ‘সুধীন্দ্রনাথ রাহা-পুরস্কার।
তার বিখ্যাত রচনাগুলির মধ্যে আছে অমানুষিকী, অসহ্য সাসপেন্স, আতঙ্ক অমনিবাস, আমার মা সব জানে, ইটি, এডগার অ্যালান পোর রচনা সংগ্রহ, গোয়েন্দা ইন্দ্রনাথ রুদ্র সমগ্র, জুল ভের্ণ সমগ্র, টারজান ফিরে এলো, নিতঙ্ক, প্রফেসর নাটবল্টুচক্র সংগ্রহ, মাকড়শা আতঙ্ক, শার্লক হোমস সমগ্র প্রভৃতি।
তিনি ফ্যানট্যাস্টিক, আশ্চর্য ও কিশোর মন পত্রিকার সম্পাদনা করেন। বাংলা সাহিত্যে সায়েন্স ফিকশনের প্রতিশব্দ 'কল্পবিজ্ঞান' শব্দটি তারই অবদান। এর আগে এগুলি বিজ্ঞান ভিত্তিক গল্প নামেই পরিচিত ছিল।
বাংলা কল্পবিজ্ঞান যতদিন থাকবে, অদ্রীশ বর্ধনের নাম ও কাজ পরম শ্রদ্ধায় উচ্চারিত, লিখিত এবং পঠিত হতে থাকবে। অদ্রীশ বর্ধন কেবল লেখক নন, তিনি একজন পথিকৃত, বাংলা কল্পসাহিত্য পথের অগ্রদূত।
অদ্রীশবাবুর সৃষ্ট চরিত্রটি প্রফেসর নাট বল্টূ চক্র, শঙ্কু নয় ।
ReplyDeleteকোথায় বলা আছে ওনার সৃষ্ট চরিত্র শঙ্কু, একটু দেখিয়ে দেবেন।
ReplyDelete