বাংলা ভাষার সমস্ত লেখক - এক জায়গায় ক্রমানুসারে
কুমার প্রসাদ মুখোপাধ্যায়
জন্ম - ১৯২৭ মৃত্যু - ১৪ই মে ২০০৬
কুমার প্রসাদ মুখোপাধ্যায়
জন্ম - ১৯২৭ মৃত্যু - ১৪ই মে ২০০৬
কলকাতা, ভারত
“যৌবনে অন্য পাঁচটা পাপকার্যের সঙ্গে কলকাতার একটি ইংরেজি দৈনিক পত্রিকায় আমি বেশ কিছুদিন সঙ্গীত সমালোচনা করতাম। এই ভরসায় যে, বেশির ভাগ গাইয়ে বাজিয়ে ওস্তাদরা ইংরেজি জানেন না, আর যাঁরা জানেন তাঁরা এসব রাবিশ পড়তে যাবেন কোন্ দুঃখে!”
বাবা ধূর্জোটি প্রসাদ মুখোপাধ্যায়। পড়াশোনা করেন লখনৌতে। তিনি ইকনোমিক্স ও সোসিওলজিতে এম.এ. করেন। কোল ইন্ডিয়ার সিনিয়র মোস্ট ডিরেক্টর ও ডেপুটি চেয়ারম্যান ছিলেন। মৃত্যুর সময় তিনি পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সঙ্গীত আকাদেমির ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন। ছোট থেকে সারা জীবন কাটিয়েছেন সঙ্গীতের আবহে।
মার্গ সঙ্গীতের হৃদপিন্ড হচ্ছে এর মজলিশ। অর্থাৎ হরেক রকমের জলসাঘরে খাইয়ে-দাইয়ে, আরাম-আয়েস করে গানে মত্ত হওয়া। মার্গ মাত্রই বহু ঘর-ঘরানার চক্র। গুরুবাদ, গুরুপরম্পরার ‘ব্যাপার-স্যাপার’। সকালে রাগ বিভাস থেকে শুরু করে সন্ধ্যায় রাগ ইমন পর্যন্ত অসংখ্য ঘর-ঘরানার ম্যহফিল। কুমারপ্রসাদ সেই জলসাঘরেরই একজন শ্রোতা মাত্র। তবে খোদ বড় মাপের মার্গ সঙ্গীতশিল্পী। ভালোবাসেন এ প্রাসাদে, ও প্রাসাদে সব ঘরানার গান ও গাইয়েদের সঙ্গে সময় কাটাতে, তাঁদের জীবনের সঙ্গে নিজের জীবনের সংযোগ ঘটাতে।
মার্গ সঙ্গীত জটিল। আর তারচেয়েও জটিল এই সঙ্গীত ব্যাখ্যা করা। কুমারপ্রসাদ জানতেন- কোনও মজলিশি বিষয়কে একঘেয়ে, তাত্ত্বিক করে তোলা বড় স্পর্ধার কাজ। ওই দোষে দোষী তিনি হলেন না। কাজেই মজলিশকে মজলিশি আঙ্গিকে, গুরুপরম্পরার সকল রস-রসিকতা আড্ডাবাজীর ভঙ্গিতে লেখাই কাম্য। তাঁর বহুল আলোচিত উপন্যাস ‘কুদরত্ রঙ্গিবিরঙ্গি’, ‘মজলিশ’, ‘ম্যহফিল’ (হ্যাঁ, শব্দগুলো তাঁর আদলেই পাওয়া) যে কেবল সঙ্গীত উস্তাদদের রসে ভরা, আকর্ষণীয়, ঘটনাবহুল জীবনকে, তাঁদের গানকেই তুলে ধরে, এমনটা নয়। বরং কীভাবে যেন বইগুলির গল্পে জলসাঘরের পরিপূর্ণ আবহ আপনার চোখের সামনে জ্যান্ত হয়ে উঠবে। আপনিও পাড়ি দিয়ে বসবেন গানের আড্ডার চৌহদ্দিতে। এমন লেখক আজকাল খুঁজে পাওয়া শক্ত।
ওস্তাদ বিসমিল্লা খাঁ, বাহাউদ্দিন খাঁ, বিষ্ণু দিগম্বর, বিলায়েৎ হুসেইন খাঁ থেকে শুরু করে ক্রমশ সত্যেন্দ্রনাথ বসু এমনকী শৈশবে দেখা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরও কখনও-সখনও চলে আসতেন তাঁর গল্পের ভেতরে। গল্প বললে একদিক দিয়ে ভুল হবে, কেননা তাঁর কোনও উপন্যাসই কাল্পনিক নয়। সবই সর্বৈব সত্য। এ সত্যি- ঘটনাগুলো গল্পের চেয়েও বেশি রসসমৃদ্ধ। এখনও তাঁর ধার না ঘেঁষলে কী এক রস থেকে যে নিজেকে বঞ্চিত করলেন, তা বলে বোঝানো অসম্ভব। কাজেই কুমারপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় আপনার বইয়ের তাকে না থাকলে পাঠাগার খালি-খালি, নীরস লাগা নেহাত অস্বাভাবিক নয়!
নীচে তার রচনার ওপর ক্লিক করলে নির্দিষ্ট বইটি পেতে পারেন।
একটি আবেদন -
কেউ যদি কোনো বই/ পত্রিকা স্ক্যান করতে / দিতে চান
বা সূচীপত্র ও.সি.আর. করতে চান -
তাহলে নিচের ইমেলে যোগাযোগ করবেন
কেউ যদি কোনো বই/ পত্রিকা স্ক্যান করতে / দিতে চান
বা সূচীপত্র ও.সি.আর. করতে চান -
তাহলে নিচের ইমেলে যোগাযোগ করবেন
babuipakhi819@gmail.com
দারুন। উপকৃত হলাম।
ReplyDelete