বিশেষ ঘোষণা

বিশেষ ঘোষণাঃ কারিগরি কারণ বশতঃ বেশ কিছু বইয়ের লিঙ্ক কাজ করছে না। সেগুলো ধীরে ধীরে ঠিক করে দেওয়ার কাজ চলছে। কিছু বই অপেক্ষাকৃত ভালো করতে গিয়ে একটু সময় লাগছে। ফেসবুক গ্রুপে প্রত্যেক আপডেট জানিয়ে দেওয়া হবে। মাঝে মাঝে নতুন বই দেবার ও চেষ্ট চলছে ।

বিভূতি ভূষণ গুপ্ত

বাংলা ভাষার সমস্ত লেখক - এক জায়গায় ক্রমানুসারে

বিভূতি ভূষণ গুপ্ত
জন্ম -  ১৯০১ (সম্ভবত)                                                                                                      মৃত্যু - ১৯৭২
কোন্নগর, হুগলী, প.বঙ্গ, ভারত                                                                বেহালা,  কলকাতা, ভারত


বিভূতিভূষণ গুপ্ত সম্ভবত ১৯০১ সালে  হুগলি জেলার অন্তর্গত কোন্নগরে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা ছিলেন রাখল গুপ্ত ও মাতা ছিলেন ব্রজ গুপ্ত। পিতা রাখাল গুপ্ত ভারত অয়েল মিলের অ্যাকাউন্ট্যান্ট ছিলেন।তাঁর মাও খুব সুন্দর কবিতা লিখতেন।তাঁরা চার ভাইবোন ছিলেন।তিনি ছিলেন তিন নম্বর সন্তান। যখন তাঁর তিন বৎসর বয়স, পিতা মারা যান। মা তাকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের  কাছে রেখে দিয়ে যান, সঙ্গে ছিল একটি লোহার বাক্স যেখানে ছিল তাঁর সমস্ত জামাকাপড়। ছোটো মেয়ের দায়িত্ব ৫ বছরের ছোট ছেলের হাতে দিয়ে যান। মাত্র ৫ বৎসর বয়সে মা মারা যান।রবিঠাকুরের কাছেই তিনি মানুষ হন।

   শান্তিনিকেতনের পাঠভবন থেকে তিনি স্কুল পাশ করেন। এরপর কলকাতার স্কটিশ চার্চ কলেজ থেকে বাংলা বিষয়ে স্নাতকত্তর পাশ করেন। উচ্চশিক্ষার জন্য কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় এম.এ পাশ করেন।

ব্যাক্তিগত জীবন - বিভূতিভূষণ গুপ্তের ভাগলপুরের চার্চ রেডির সেন পরিবারের কন্যা অনুপমা সেনের সঙ্গে বিবাহ হয়।তাদের এক পুত্র সন্তান  ও দুই কন্যা সন্তান ছিল। পুত্র রণেন্দ্র নাথ গুপ্ত ছিলেন ব্রিটিশ জাহাজের অডিটর ছিলেন। বড় কন্যা সুনন্দা গুপ্তের বিবাহ হয়েছিল মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জে রাজা মধুসূদন রায়ের পৌত্র সমীরেন্দ্র নাথ রায়ের সঙ্গে।বিভূতিভূষণ গুপ্তের অপর কন্যা সাধনা গুপ্তের বিবাহ হয়েছিল বরিশালের বাড়োভূঁইয়া পরিবারের নিহারঞ্জন দাশগুপ্তের সঙ্গে। স্ত্রী অনুপমা গুপ্তের ভাই শ্রী সুকুমার সেন ছিলেন ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন বিপ্লবী। তাঁর উল্লেখ পাওয়া যায় শ্রী শৈলেশ দে রচিত  "আমি সুভাষ বলছি" উপন্যাসে।

কর্মজীবন- বিশ্বভারতীর পাঠভবনে কিছুদিন শিক্ষক হিসাবে নিযুক্ত ছিলেন। বাংলা বিষয়ে লেকচারার ছিলেন।এরপর সেনহার্টিতে শ্রী শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের একটি স্কুলে ২৬ দিন শিক্ষকতা করেন।তারপর আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসুর স্ত্রী, যিনি লেডি অবলা বোস নামে পরিচিত ছিলেন তাঁর বিধবাশ্রমের রক্ষণা বেক্ষনের দায়িত্বে ছিলেন। এরপর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পুত্র রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাকে নিয়ে যান এবং পুনরায় তিনি বিশ্বভারতীতে এসে পাঠভবনের দায়িত্ব সামলান রেকটার হিসাবে।

উল্লেখযোগ্য লেখনী- ১. "বেড়াল ঠাকুরঝি" - রবীন্দ্রনাথের ভূমিকা সংবলিত গল্প সংকলন; ২. "কাঠবেড়ালি ভাই"- এটি একটি কবিতা সংকলন।

লেখকের জীবনের আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য- শান্তিনিকেতনের রতনপল্লীর একটি কোয়াটারে বসবাস করতেন। পরে তিনি কলকাতায় চলে আসেন।তবে শান্তিনিকেতনে থাকাকালীন ছোট মাঠে আয়োজিত পৌষমেলার রক্ষণা বেক্ষনের দায়িত্ব সামলেছিলেন।বিভূতিভূষণ গুপ্তের বাড়িতে  বিশাল এক বাগানবাড়ি ছিল, এবং সেই বাগান দেখতে বিদেশীরাও আসত। তিনি নানাধরনের গাছপালা, ফুলফল, শাকসবজি নিয়ে থাকতে ভালোবাসতেন। এক কৃষি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে গোটা বীরভূম জেলার মধ্যে বিভূতিভূষণ গুপ্তের নিজেস্ব বাগান প্রথম স্থান অর্জন করেছিল পঞ্চমুখী গাজর ও টমেটো চাষের জন্যে।তাছাড়াও কলকাতায় তাঁর নিজেস্ব একটি স্কুল ও ছিল।

৬২ বছর বয়সে তিনি কর্মজীবন থকে অবসর গ্রহণ করেন। ৬০ বছর থেকে ২ বছর বৃদ্ধি করা হয়েছিল।  

মৃত্যু - ১৯৭২ সালে মাত্র ৭২ বছর বয়সে  কলকাতায় ছেলের কাছে  হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়।



কৃতজ্ঞতা - সুলগ্না রায় (লেখকের প্রোপৌত্রি)

নীচে তার রচনার ওপর ক্লিক করলে নির্দিষ্ট বইটি পেতে পারেন।

অ - ঔ ক - ন প - ম, শ স, ষ, র, ল, য, হ, ক্ষ
















































































































একটি আবেদন - 
কেউ যদি কোনো বই/ পত্রিকা স্ক্যান করতে / দিতে চান 
বা সূচীপত্র ও.সি.আর. করতে চান - 
তাহলে নিচের ইমেলে যোগাযোগ করবেন 

babuipakhi819@gmail.com 

1 comment:

  1. অনেক ধন্যবাদ।খুব সুন্দর হয়েছে আপনাদের উপস্থাপনা।।

    ReplyDelete